নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে পরিচিত ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদান নিয়ে যখন তোলপাড় আন্তর্জাতিক রাজনীতি, তখন উত্তেজনার পারদ চড়লো ব্রিটেনের সাথে নতুন চুক্তিতে। এখন থেকে নর্ডিক অঞ্চলের দেশ দুটিকে সব ধরনের সামরিক সহায়তা দেবে ব্রিটেন। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত; জানিয়েছে লন্ডন। তবে এ ঘটনায় পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে মস্কো।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঐতিহাসিকভাবে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের নিরপেক্ষ দেশ হলেও তারা সামরিক জোটের সদস্য হতে চাইছে রাশিয়ার কারণে। ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর, ওই অঞ্চলের প্রতিটি দেশই এখন নিজের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব নিয়ে চিন্তিত। আর এসব দেশের কাছে একমাত্র হুমকি রাশিয়াই। গণতন্ত্র ও মুক্তচিন্তার দেশ হিসেবে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড আমাদের কাছে পরিবারের সদস্যের মতো। তাই এই দেশ দুটির নিরাপত্তায় সব সময় আমাদের সহযোগিতা থাকবে।
চুক্তিতে বলা হয়, আগ্রাসনের শিকার হলে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে ব্রিটেন। দুই দেশের সামরিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে দেয়া হবে প্রশিক্ষণ। পাশাপাশি সরবরাহ করা হবে গোয়েন্দা তথ্য এবং সামরিক প্রযুক্তি।
ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সওলি নিনিস্তো বলেছেন, নিরাপত্তার অর্থই হলো নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা। আমরাও তাই করেছি। কোনো দেশকে হুমকি বা হুঁশিয়ারি দেয়ার জন্য আমরা নিরাপত্তা জোরদার করছি না। রাশিয়া তার প্রতিবেশীর ওপর আগ্রাসন চালানোর কারণেই আমরা নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করছি।
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন বলেছেন, বিদেশি আগ্রাসন ঠেকানোর জন্য আমাদের সামনে যতগুলো সুযোগ আছে আমরা সবগুলোই কাজে লাগাবো। এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর হলো ন্যাটো। তাই আমাদের ভবিষ্যত সুরক্ষার জন্য জোটটিতে অংশগ্রহণ করার কোনো বিকল্প নেই।
এদিকে, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্তি এবং ব্রিটেনের সহায়তাকে রাশিয়ার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে মস্কো। ক্রেমলিনের হুঁশিয়ারি, ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ন্যাটোতে যোগ দিলে ইউরোপ সীমান্তবর্তী কালিনিনগ্রাদে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হবে। সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট।
জেডআই/
Leave a reply