সয়াবিন তেলের কারসাজির মধ্যেই বাড়িয়ে দেয়া হলো সরিষার তেলের দাম। নীরবেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে সিন্ডিকেট। সুযোগ বুঝে হাতিয়ে নিচ্ছে বাড়তি মুনাফা। ভোজ্যতেলের চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ পূরণ হয় সরিষার তেলের মাধ্যমে। আর সয়াবিনের বাজার পুরোটাই আমদানি নির্ভর।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরিষা উৎপাদনে কৃষকদের আগ্রহী করতে প্রণোদনা প্যাকেজ প্রয়োজন।
রোজার শুরু থেকেই সয়াবিন তেলের সংকট বাজারে। ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে উধাও হয়ে যায় ৫ ও ২ লিটারের বোতল। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর পায়তারা চলে। অবশেষে ঈদের তৃতীয় দিন বাড়িয়ে দেয়া হয় সয়াবিন তেলের দর। তবুও সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে বিকল্প হিসেবে অনেকে ঝুঁকছেন সরিষার তেল ব্যবহারে।
সরিষার তেলের বাজারও বেশ চড়া। এক মাসের ব্যবধানে খোলা তেলের দাম লিটারে ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। ব্র্যান্ড ভেদে বোতলজাত সরিষা তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী সরিষার তেল পাওয়া যাচ্ছে না। সয়াবিনের দাম বেড়ে যাওয়ায় দাম একটু বাড়তি হয়েছে। সরিষার তেলের দাম বাড়ার কথা কোম্পানি ভালো বলতে পারবে। তারা বলে সরিষা নাকি সর্ট। বাহিরে থেকে সরিষা আসে, দাম নাকি বেশি।
দেশে উৎপাদিত পাঁচ লাখ মেট্রিক টন সরিষা থেকে ২ লাখ টন তেল পাওয়া যায়। আর বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদা প্রায় ২০ লাখ টন।
ইউএইচ/
Leave a reply