ন্যাটোতে যোগ দেয়াকে কেন্দ্র করেই ইউক্রনে সেনা অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এবার উত্তেজনা শুরু হয়েছে মস্কোর সীমান্ত ঘেঁষা ফিনল্যান্ডের যোগ দেয়া নিয়ে। দেশটির ন্যাটোতে যোগ দেয়া নিয়ে রাশিয়ার সাথে চলছে হুমকি-ধামকি, আর কথার লড়াই। নিজেদের পার্লামেন্টে অনুমোদনের পর আগামী সপ্তাহে ন্যাটোর সদস্য পদের জন্য আবেদন করবে ফিনল্যান্ড, তাদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সামরিক জোটটিও। ফিনল্যান্ডের এমন পদক্ষেপে ইউরোপে নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পরার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ফিনিশ সরকার বলছে, নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্যই ন্যাটোতে যাবে তারা। এখন শুধু পার্লামেন্টে অনুমোদনের অপেক্ষা। ন্যাটো বলছে, তারাও প্রস্তুত আছে স্বাগত জানাতে।
জবাবে রাশিয়ার হুঁশিয়ারী, ইউরোপে সংঘাতময় পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনছে ন্যাটো। তারা চায় রাশিয়ার নাকের ডগায় সামরিক ঘাঁটি বসাতে। এজন্য ফিনল্যান্ডকে ঢাল হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করা হচ্ছে। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলছেন, রাশিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নির্ভর করছে ন্যাটোর আচরণের ওপরে। এখনও আমরা সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছি। কারণ সব পক্ষই চায় ন্যাটো এবং রাশিয়া যেন সরাসরি যুদ্ধে না জড়ায়। কিন্তু সামরিক জোটটি যে আচরণ করছে তাতে ভালো কোনো ফল আসবে বলে মনে হয় না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনে হামলার কারণেই সাবধান হচ্ছে পূর্ব ইউরোপের ছোট দেশগুলো। তবে ভবিষ্যতে অঞ্চলটি সংঘাতের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে বলেও শঙ্কা করছেন কেউ কেউ। ফিনিশ রাজনৈতিক বিশ্লেষক হেলি হাউতালা বলছেন, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের আগে যে চিন্তা ভাবনা ছিল ফিনল্যান্ডের নিশ্চই সেটা আর এখন নেই। মস্কোর সাথে এতোদিন সম্পর্ক ভালো রাখার চেষ্টা করে গেছে তারা। কিন্তু এখন নিজেদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়টি বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ন্যাটোতে যোগ দেয়ার বিকল্প ভাবছে না সরকার। তবে এতে সংঘাতের ঝুঁকিও বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাশিয়ার সাথে ফিনল্যান্ডের প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তাই দেশটির ন্যাটোতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্তকে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হিসেবে দেখছে পুতিন সরকার।
/এডব্লিউ
Leave a reply