তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বরাদ্দ না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

|

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর:

নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, তিস্তাচুক্তি সইসহ ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে আগামী বাজেট অধিবেশনে বরাদ্দ দেয়ার ঘোষণা না দেয়া হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ।

শুক্রবার (১৩ মে) রংপুর মহানগলীতে দাবি আদায়ে তিস্তা কনভেনশন উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী। এসময় পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাফিয়ার রহমান, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ড. তুহিন ওয়াদুদসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে হক্কানী অভিযোগ করেন, দেশের অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকারও বেশি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। কিন্তু মাত্র সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার তিস্তা মহাপরিকল্পনা ঝুলিয়ে রেখেছে তারা। অথচ এর সাথে এই রংপুর অঞ্চলের কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত আছে। আমরা চীন ভারত বুঝি না। নিজস্ব অর্থায়নে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সেজন্য আগামী বাজেটেই প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়ার ঘোষণা দিতে হবে। যদি এটি করা না হয় তাহলে আগামীকালের তিস্তা ডিগ্রি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিতব্য তিস্তা কনভেনশনে বৃহত্তর আন্দোলন ও সংগ্রামের কর্মসূচি দেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তিস্তা খনন না হওয়ার কারণে এবার মাত্র ৩ হাজার কিউসেক পানির ভারও সইতে পারছে না তিস্তা। সেকারণে অসময়ে বন্যা হয়েছে। বর্ষাকালে এই পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নেবে। তাই বিজ্ঞানসম্মতভাবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার কোনো বিকল্প নাই। সারাবছর তিস্তায় পানি রাখতে ভারতের সাথে তিস্তা চুক্তি সই নিশ্চিত করার বিষয়টি আর কোনোভাবেই বিলম্ব করা যাবে না। তিস্তার ভাঙন, বন্যা, খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ, ভাঙনের শিকার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন, তিস্তার শাখা উপশাখা ও উপনদীগুলোতে পূর্বেকার সংযোগ স্থাপন, দখল ও দূষণমুক্ত করে জলাধার নির্মাণ, দুই পাশে শিল্পায়নের মাধ্যমে বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান করতে হবে।

হক্কানী অভিযোগ করে বলেন, রংপুর অঞ্চলে যেখানে নিয়ম অনুযায়ী দ্বিগুণ উন্নয়ন বরাদ্দ দেয়ার কথা, সেখানে ন্যায্য উন্নয়ন বরাদ্দই পাচ্ছে না এই অঞ্চলের মানুষ। বৈষম্য দিনদিন সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তিস্তাকে ঘিরেই এই অঞ্চলের কোটি মানুষের জীবন-জীবকা চলে। সেই তিস্তা মরে গেছে। তিস্তা যদি আরও মরে যায় তাহলে কোটি মানুষের জীবনও বিপন্ন হয়ে উঠবে। এই অঞ্চলে ৫ জন মন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিস্তা নিয়ে সংসদে জোড়তাল আওয়াজ না ওঠায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই তিস্তা আন্দোলনের নেতা।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply