স্টাফ করেসপনডেন্ট, চাঁদপুর:
পোল্ট্রি এবং মৎস্য খামারে বিকল্প খাদ্য হিসেবে চাঁদপুরে শুরু হয়েছে ‘ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই’ চাষ। এটি এক ধরনের পোকা, কালো মাছি নামে এ পোকার লার্ভাকে মাছ ও হাঁস-মুরগির সুপার ফিড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই মাছির লার্ভা চাষ করে লাভবান হয়েছেন বলে দাবি খামারিদের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাছির লার্ভার মানুষের দেহের জন্য কতোটা উপকারী তা গবষেণার বিষয়। আর মৎস্য বিভাগ বলছে, প্রাথমিকভাবে সফল মনে হলেও বাস্তবতা জেনে অন্যদের উদ্বুদ্ধ করতে উদ্যোগ নেয়া হবে।
জেলার সদর ও ফরিদগঞ্জে চাষ করা হচ্ছে এই ব্লাক সোলজার। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন অনেক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে, অন্যদিকে হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্যের চাহিদা পূরণ হবে। উদ্যোক্তারা বলছেন, প্রাথমিক পর্যায়েই বাণিজ্যিকভাবেই এ মাছি চাষ করে লাভবান তারা।
এছাড়া শুধু লার্ভা নয়, এই মাছির খামারে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণও হতে পারে উৎকৃষ্টমানের জৈব সার। তবে মাছির লার্ভা মানব দেহের জন্য কতোটা উপযোগী তা গবেষণার বিষয় বলছে চাঁদপুর প্রাণীসম্পদ বিভাগ। প্রাণীসম্পদ বিভাগের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. জুলহাস আহমেদ বলেন, হাঁস-মুরগি যেহেতু মানুষের খাদ্য, তাই এই মাছি তাদের খাওয়ালে তা মানবদেহের জন্য কতটা উপকারী তা এখনও আমরা নিশ্চিত নই, এজন্য গবেষণা প্রয়োজন। তবে এটি উপকারী প্রমাণিত হলে এটি চাষে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত করা যাবে বলেও জানান তিনি।
প্রাথমিকভাবে মাছি চাষ আশার সঞ্চার করছে বলে মনে করছে মৎস্য বিভাগ। তেমন হলে অন্যদেরও ব্লাক ফ্লাই চাষে উদ্বুদ্ধ করা হবে বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান। বলেন, কস্ট বেনিফিট অ্যানালাইসিস করলে বোঝা যাবে এটি লাভজনক কিনা। তবে নিঃসন্দেহে এটি একটি নতুন পদ্ধতি। মৎস্য চাষীদের মধ্যে এটি ছড়িয়ে যেতে পারলে তারা লাভবান হতে পারেন।
বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন কোম্পানির ফিডে ৩০ শতাংশ প্রোটিনের থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে থাকে কিনা সন্দেহ আছে। কিন্তু ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাইয়ে ৪৩ থেকে ৫৫ ভাগ আমিষ থাকে। তাই মাছ, হাঁস- মুরগীর বিকল্প ফিড হিসেবে এ জনপ্রিয়তা বাড়বে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
এসজেড/
Leave a reply