স্টাফ রিপোর্টার, পটুয়াখালী:
পটুয়াখালীর গলাচিপায় চুরির অভিযোগে মুন্না নামের এক কিশোরকে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় তিনজনকে আটক করলেও পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি ভুক্তভোগীকে। ঘটনার পর নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে নিখোজ হয় মুন্না।
গত ৯ মে থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত মুন্নার উপর নির্যাতন চালায় গলাচিপা উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের হযরত আলী নামের এক ব্যক্তি। যিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। মুন্না বোয়ালিয়া গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গলাচিপা থানার ওসি শওকত আনোয়ার হোসেন জানান, ভিডিও ফুটেজ দেখে এবং মুন্নার মায়ের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুন্নার মামি মমতাজ বেগম, মামাত বোন তানিয়া আক্তার ও প্রতিবেশী শামিম ইসলামকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া নির্যাতনের শিকার মুন্নাকে উদ্ধারের জন্য এবং অভিযুক্ত হযরত আলীকে আটকের চেষ্টা চলছে।
গত ৯ মে রাতে মামার বাসা থেকে নগত টাকা আর মোবাইল চুরির অভিযোগ আনা হয় মুন্নার বিরুদ্ধে। এরপরই গাছের সাথে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন চালায় হযরত আলী নামের স্থানীয় একজন। তারপাশেই ছিল মুন্নার মামি আর মামাত বোন। যা ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়।
এনবি/
Leave a reply