সব পণ্যেই এখন অগ্নিমূল্য। হু হু করে বাড়ছে আমদানি নির্ভর পণ্যের দাম। এমন অবস্থায় মানুষকে সাশ্রয়ী হবার পরামর্শ দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, পণ্যের দাম কমবে এমন আশ্বাস দেয়া কঠিন। কারণ, বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী। মন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে সরকার। যমুনা টেলিভিশনকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কারসাজি করলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
বাজারে এমন কোনো পণ্য খুঁজে পাওয়া যাবে না যার দাম সহনীয়। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে, আর তাতে বেকায়দায় পড়েছে সাধারণ মানুষ। ঈদের আগে এবং পরে ভোজ্যতেল নিয়ে সারাদেশেই হয়েছে তেলেসমাতি। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাড়িয়ে দেয়া হয় দাম। ক্রেতার পকেট কেটে নেয়া হয় দেড়শ কোটি টাকারও বেশি। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, খুচরা বিক্রেতারা কথা রাখেনি। তারা কথা দিয়েছিল রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো হবে না। কিন্তু ঈদের আগেই দাম বাড়িয়ে দেয় তারা। ঈদের পরেও এই অবস্থা জারি রাখা হয়েছে।
সহনীয় দামে কবে ভোজ্যতেল পাবে ভোক্তা, এ প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমি জানি না। কিন্তু দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। আপনারা জানেন, ভারতে আমাদের এখানকার চেয়েও দাম বেশি প্রায় ১৪ টাকা। পাকিস্তানে বেশি অন্তত ৩০-৩৫ টাকা। আশেপাশের দেশও কিন্তু আমদানি নির্ভর। তাদের যেভাবে বাড়ছে আমরা কিন্তু তার চেয়ে কমে দিতে পারবো না। কারণ, দাম বাড়ছে বৈশ্বিক বাজারেই।
সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ায় চরম কষ্টে আছে নিম্নবিত্ত শ্রেণির বড় সংখ্যক মানুষ। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমরা জানি মানুষ কষ্টে আছে। আমাদের সবাইকে এখন এই সঙ্কট মাথায় নিয়ে সাশ্রয়ী হতে হবে। আমদানি নির্ভর বিলাসদ্রব্যের দিকেও কম নজর দেয়ার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখাই এখন সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। এমনটি জানিয়ে মন্ত্রী বললেন, মজুদদার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ অব্যাহত থাকবে। বার্তা একটাই, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এই তদারকি বাজারে আরও বাড়াতে হবে। গত ৭ দিনে ব্যবসায়ীরাও অত্যন্ত ‘অ্যাগ্রেসিভ’।
সার্বিক অর্থনীতি যাতে গতিশীল থাকে সেজন্য রফতানি এবং রেমিটেন্স প্রবাহ নিশ্চিতের ওপর জোর দেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, দাম বাড়ুক বা কমুক, কম দামে এই পণ্যগুলো নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে টিসিবি।
/এম ই
Leave a reply