ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারতের উন্নতির রহস্য জানালেন কপিল দেব

|

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। লোক সংখ্যা, আয়তন ও ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশ থেকে যোজন-যোজন এগিয়ে দেশটি। বিশেষ করে গেলো দুই দশকে ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারতের উন্নতি চোখে পড়ার মতো। আর এর বড় কারণটা পরিষ্কার করলেন ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব।

কপিল দেব বলেন- আমাদের দেশ থেকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও বিজ্ঞানী বেশি উঠে আসে। কারণ আমাদের বাবা-মারা তাদের সন্তানদের তাই বানাতে চান। তবে ভারতীয় অভিভাবকরা সন্তানদের ক্রীড়াক্ষেত্রে পাঠাতে শুরু করেছে, এখন আমরা প্রত্যেক ডিসিপ্লিনে আমাদের দেশ থেকে চ্যাম্পিয়ন অ্যাথলেট পাব।

ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন উপলক্ষে নিউ ইয়র্কের এক সম্মেলনে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বলেন- মানসিকতায় আরও পরবর্তন আনতে হবে অভিভাবকদের। বলেন, আমার মেয়ের যদি একই সাথে একাডেমিক পরীক্ষা ও ক্রীড়া আসর থাকে। আমি আমার মেয়েকে বলবো পড়ায় মনোযোগ দিতে। কিন্তু উন্নত দেশে বলবে এ বছর ড্রপ করে দেশের জন্য খেলতে যাও। এখানেই আমাদের মানসিকতার আরও পরিবর্তন দরকার।

গত দুই দশকে ভারতের ক্রীড়াক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন লক্ষণীয়। ক্রিকেটে নিজেদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়, ব্যাডমিন্টনে পিভি সিন্ধুর অলিম্পিক পদক জয়, অলিম্পিকে দিপা কর্মকার, নিরাজ চোপড়াদের সাফল্য। হকির সুসময় আবারও ফিরছে। ভারতীয় ফুটবলও জেগে উঠেছে, এশিয়ার টপ ফ্লাইটে ওঠার অপেক্ষায়।

কপিল দেব আরও বলেন, আমি যখন খেলতাম আমার ক্রিকেটীয় সরঞ্জাম স্কুলে লুকিয়ে রাখতাম আর কাউকে কিছু না বলে খেলতে যেতাম। আর এখনকার অভিভাবকরা নিজেদের সন্তানদের ক্রীড়াক্ষেত্রে যোগ দেয়াকে সাধুবাদ জানায়। এই জন্যই এখন পর্যন্ত আমাদের এত অর্জন।

সন্তানদের সফলতার পিছনে যে অভিবাবকদের মানসিকতার বড় প্রভাব বিরাজমান, সে দিকেই জোর দিলেন এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply