মেক্সিকোতে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে নিখোঁজ হওয়া মানুষের সংখ্যা। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, অপহৃত মানুষের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ছাড়িয়েছে লাখের ঘর। জানা গেছে, অপহরণ বা নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের ৭৫ ভাগই পুরুষ। হারানো স্বজনকে ফিরে পেতে দেশটির সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান পরিবারগুলোর। উদ্বেগ জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাগুলোও।
হারানো স্বজনদের ফিরে পেতে রাস্তায় নেমেছেন দেশটির হাজারো মানুষ। মেক্সিকোর এই নাগরিকদের কেউ হারিয়েছেন বাবা, কেউ স্বামী, কেউ বা হারিয়েছেন প্রাণপ্রিয় সন্তানকে।
দেশটির সরকারি হিসাব বলছে, ইতোমধ্যে লাখ ছাড়িয়েছে মেক্সিকোতে নিখোঁজ মানুষের সংখ্যা। এ পরিসংখ্যানে ১৯৬৪ সাল থেকে তথ্য দেয়া হলেও নিখোঁজের প্রায় সব ঘটনাই ঘটেছে ২০০৭ সালের পর। আর গেলো দুই বছরে এ সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার।
প্রিয় স্বজনকে ফিরে ফেতে এখনও আশায় বুক বেঁধে আছেন অনেকে। মেক্সিকোর সরকারকে যথাযথ উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান তাদের।
নিখোঁজ লুইস এঞ্জেলের মা এরাচেলি রদ্রিগেজ বলেন, আমার সন্তানকে ফিরে পেতে চাইলে তারা অনেকে আমাকে পাগল বলে। আমিও তাদের বলি, হ্যাঁ আমি পাগল। যদি পাগল না হতাম তবে আমি এই সন্তান হারানোর যন্ত্রণা সহ্য করতাম না। আমি জানি না আমার সন্তান বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে। এখনও তাকে ফিরে পাওয়ার আশায় আছি আমি।
সংঘাতকবলিত এ দেশটিতে আশঙ্কাজনক হারে নিখোঁজ হওয়ার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
মেক্সিকান মানবাধিকার কর্মী সোফিয়া ডি রাবিনা বলেন, দেশে নিখোঁজ মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে, এটা খুবই বেদনাদায়ক। এসব মানুষের আত্মীয়-স্বজনদের কথা আমাদের ভাবতে হবে, তারা কতটা কষ্টে দিন পার করছে। এটি বর্তমানে দেশের মানবিক সঙ্কটে পরিণত হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য বলছে, নিখোঁজ হওয়া এই এক লাখের বেশি মানুষের মধ্যে মাত্র ৩৫টি ঘটনার বিচার হয়েছে।
/এসএইচ
Leave a reply