বুধবারের (২৫ মে) আগে দেশে আসছে না প্রখ্যাত সাংবাদিক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ। শুক্রবার (২০ মে) বিকেলে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সোমবারের (২৩ মে) আগে আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর ডেথ সার্টিফিকেট দেবে না ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া মরদেহ বিমানে উঠানো যাবে না। তাছাড়া সামনের ফ্লাইট আগামী বুধবার। তাই, বুধবারের আগে প্রখ্যাত সাংবাদিক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা নেই।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৯ মে) যুক্তরাজ্যের লন্ডনের বেন্ট হাসপাতালে স্থানীয় সময় ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে মারা যান প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কবি আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তিনি ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়ার চৌধুরীবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা হাজী ওয়াহিদ রেজা চৌধুরী ও মা জহুরা খাতুন।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ছোটদের উপন্যাসও লিখেছেন গাফ্ফার চৌধুরী। চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান, সম্রাটের ছবি, ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা, বাঙালি না বাংলাদেশীসহ তার প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা প্রায় ৩০। এছাড়া তিনি কয়েকটি পূর্ণাঙ্গ নাটক লিখেছেন। এর মধ্যে আছে পলাশী থেকে ধানমন্ডি, একজন তাহমিনা ও রক্তাক্ত আগস্ট। এছাড়া বাঙালির মুক্তি আন্দোলনের অবিসংবাদিত সঙ্গীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী।
কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ নানা পুরস্কার পেয়েছেন গাফ্ফার চৌধুরী। ১৯৬৩ সালে পান ইউনেস্কো পুরস্কার। এছাড়া বাংলা একাডেমি পদক, একুশে পদক, শেরেবাংলা পদক, বঙ্গবন্ধু পদকসহ আরও অনেক পদকে ভূষিত হয়েছেন।
/এম ই
Leave a reply