বিশ্বের অন্তত ১১টি দেশে ছড়িয়েছে বিরল রোগ মাংকিপক্স। এমন তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দেশগুলো হলো- ইতালি, সুইডেন, স্পেন, পর্তুগাল, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়া। এখন পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তির শরীরে শনাক্ত হয়েছে এই রোগ। খবর বিবিসির।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, নতুন করে সন্দেহভাজন আরও ৫০ জনের শরীরে মাংকিপক্স শনাক্তের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে সন্দেহভাজন এসব মাংকিপক্স রোগী কোন কোন দেশের তা জানানো হয়নি। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে প্রথম মাংকিপক্স শনাক্ত হয় যুক্তরাজ্যে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি কানাডা ভ্রমণ করা একজনের মাংকিপক্স শনাক্তের কথা জানিয়েছে। তবে ওই ব্যক্তি ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
চিকিৎসকরা জানান, মাংকিপক্সের মূল উপসর্গ হচ্ছে জ্বর। সাথে মাথা ও মাংসপেশীতে ব্যথা অনুভূত হয়। তিন দিনের ব্যবধানে শরীরে জলবসন্তের মতো ফুঁসকুড়ি দেখা দেয়। এই অবস্থায় দু’ থেকে চার সপ্তাহ অসুস্থ থাকতে পারেন রোগী। ছোঁয়াচে না হলেও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে।
১৯৫৮ সালে গবেষণার জন্য আলাদা রাখা দুটি বানরের শরীরে দেখা যায় রোগটি। সেখান থেকেই ‘মাংকিপক্স’ নামের শুরু। তারপর ১৯৭০ সালে মানবদেহে প্রথম শনাক্ত হয় এর সংক্রমণ। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৪৭ জন এ রোগে আক্রান্ত হন। তবে, সর্বোচ্চ সাড়ে চারশ’ মানুষ ভুগেছেন নাইজেরিয়ায়, ২০১৭ সালে।
জেডআই/
Leave a reply