নিয়ন্ত্রণে নেই চালের বাজার। দাম বাড়ছে বোরোর ভরা মৌসুমেও। গত ১৫ দিনেই চালের দর ওঠানামা করেছে কয়েক দফা। খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মিলারের পাশাপাশি ধান মজুদ করছে বড় শিল্প গ্রুপ। বাজারের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। অথচ মুনাফা কমেছে কৃষকের। এদিকে, শ্রমিক সঙ্কটের দোহাই দিচ্ছেন মিলাররা।
বোরো মৌসুম মানেই ধানের বাজারে সুদিন। এ সময়ে উৎপাদিত চাল দিয়েই মেটে দেশের অর্ধেক চাহিদা। গুদাম খালি করে নতুন ধান রাখতে ব্যস্ততা বাড়ে আড়ত আর মিলে। সেই বোরো ধান বাজারে আসলেও দাম কমার বদলে উলটো বাড়ছে।
গত ১৫ দিনে চালের দর ৩ দফা বেড়েছে। সে নজির মিলছে সরকারি নথিতেও। মিনিকেটের দর ওঠানামা করছে ৬২ থেকে ৬৪ টাকার মধ্যে। ২ টাকা কমে আবার বেড়েছে মোটা চালের দর। নাজিরশাইলের কেজি ৭৫ টাকার আশপাশে। ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রতিদিনই দর ওঠানামা করছে মোকামে। ঘাটতি আছে সরবরাহে। বোরো মৌসুমে এমন অভিজ্ঞতা দুর্লভ।
এবার মিলারদের পর্যবেক্ষণ ভিন্ন। তাদের দাবি, ধানের বাজারে দাপট দেখাচ্ছে ১২-১৪টি বড় শিল্প গ্রুপ। সাধারণ সময়ে মিলাররা ৫০ কেজির বস্তায় চাল বিক্রি করলেও, ছোট প্যাকেট তৈরি করছে এসব কোম্পানি। চাল কিনতে রীতিমতো প্রতিযোগিতা করছে এসব কোম্পানি।
এদিকে, ভোগান্তি বেড়েছে কৃষকের। বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় কাটতে হয়েছে অপরিপক্ক ধান। মাটি লেগে থাকায় এসব শস্যে ভালো দামও মিলছে না। তাদের দাবি, সার ও বীজের দাম বাড়ায় এবার মুনাফা কম হবে।
গত সপ্তাহের হিসাব অনুযায়ী, এই মুহূর্তে সরকারি গুদামে মজুদ আছে ১০ লাখ ৩২ হাজার টন চাল।
এসজেড/
Leave a reply