ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরে ৩৫ বছর বয়সী এক নারী শ্রমিক ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
সোমবার (২৩ মে) বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টার মধ্যে কোনো এক সময় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই নারী ফরিদপুর সদরের একটি ম্যাটস (পাপোশ) তৈরির কারখানায় কাজ করেন। গত সোমবার বিকেল ৫টার দিকে তিনি কারখানা থেকে বের হয়ে রাতে বাড়িতে ফিরে যাননি।
ওই নারীর বোন জানান, সোমবার রাত ১১টার দিকে জামাল মুন্সী নামের এক অটোচালক তাকে ফোন করে জানায় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তার বোন বর্তমানে মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরে তিনি মেডিকেলে গিয়ে তার বোনকে সার্জারি ওয়ার্ডের মেঝেতে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় দেখতে পান।
ওই ওয়ার্ডের স্টাফ নার্স সন্ধ্যা রানী বাড়ই জানান, ওই নারীকে যে হাসপাতালে ভর্তি করে যান তিনি ভুল তথ্য দিয়ে ভর্তি করান। বলা হয়েছিল তার মাথায় আঘাত রয়েছে। ওই নারীর মাথায় আঘাত ছিল ঠিকই কিন্তু তারচেয়ে বড় সমস্যা হলো তাকে ধর্ষণ কারা হয়েছে। এ বিষয়টি মঙ্গলবার দুপুরে বোঝার পর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্বপালনকারী উপ-পরিচালক দীপক সাহাকে জানানো হয়েছে।
দীপক সাহা জানান, ধর্ষণের ঘটনাটি জানার পর নিয়ম অনুযায়ী রোগীকে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় জানানো হয়েছে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, হাসপাতাল থেকে এ খবর শোনার পর পুলিশের একটি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন। ওই নারী মাসিক সাড়ে চার হাজার টাকার বিনিময়ে ম্যাটস তৈরির একটি ক্ষুদ্র কারখানায় কাজ করেন।
জেডআই/
Leave a reply