বোরো ধান নিয়ে বিপাকে উত্তরের কৃষকরা। টানা বৃষ্টিতে ফসলের মাঠে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ঝড়ো হাওয়ায় হেলে পড়েছে ধান। এ অবস্থায় দিনাজপুরে মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক। বাড়তি মজুরির আশায় তাদের বড় অংশ ছুটছে হাওরে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার দিনাজপুরে বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে ঝড়ো হাওয়া আর বর্ষণের বিরূপ প্রভাবে জমিতেই নষ্ট হয়েছে ফসল। হাওর অঞ্চলে পুরোদমে ধান কাটা ও মাড়া শুরু হওয়ায় শ্রমিকদের অনেকেই সেদিকে পাড়ি জমিয়েছে। ফলে এই অঞ্চলে শ্রমিক পাওয়া দুস্কর হয়ে পড়েছে।
পানিতে ডুবে থাকা ধান কিনে নিচ্ছে পাইকাররা। নিজেরাই শ্রমিক লাগিয়ে ধান কেটে ওজন করে নিয়ে যাচ্ছে। কাঁচা ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার টাকা বস্তা হিসাবে। শুকানোর পর এই ধানের দাম ২ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা পড়ে যাবে। পাইকার ও মিলারদের প্রতিনিধিরা গ্রাম থেকেই ধান কিনে নেয়ায় বাজারে বিক্রেতা নেই বললেই চলে।
কৃষি কর্মকর্তাদের দাবি, ইতোমধ্যেই ৭০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। তবে মাঠের চিত্র ভিন্ন। এই অঞ্চলে এখনও ধান পুরোপুরি পাকেনি। দিনাজপুরের কৃষি কর্মকর্তা খালেদুর রহমান বলেন, কিছুদিন আগে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় কিছু কিছু মাঠে পানি জমে গেছে। আমরা চাষি ভাইয়েদের দ্রুত পানি বের করে ধান কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়েছে, তারাও দ্রুততার সাথে কাজ করেছেন। ফলে উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি হতে দিইনি আমরা।
চলতি বছর দিনাজপুরে এক লাখ ৭২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে।
এসজেড/
Leave a reply