ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলে সালাম দিতে দেরি হওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে থাপ্পড় ও লাথি মারার অভিযোগ এসেছে এক ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৪ মে) রাত ১১টার পর ঢাবির মাস্টারদা সূর্যসেন হলে ঘটে মারধরের এই ঘটনা। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল হক সাঈদী নৃবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তাকে মারধরে অভিযুক্ত মানিকুর রহমান ওরফে মানিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত। তিনি হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। সিয়াম রহমান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাঈদী হল প্রভোস্ট বরাবর একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন। এই অভিযোগপত্রটি পেয়েছেন বলে যমুনা নিউজকে জানিয়েছেন হল প্রভোস্ট মকবুল হোসেন ভূঁইয়া। তিনি জানান, অভিযোগপত্র পাওয়ার পরই ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে দ্রুত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য তদন্ত কমিটিকে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, সূর্যসেন হলের ২৪৯ নাম্বার কক্ষে বসে অনলাইনে টিউশনের ক্লাস নিচ্ছিলেন সাজ্জাদুল হক সাঈদী। এ সময় তার কক্ষে আসেন মানিকুর রহমানসহ চতুর্থ বর্ষের কয়েক ছাত্র। উঠে গিয়ে সালাম দেননি বলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন মানিক। তারপর সাঈদীকে তার কক্ষে যেতে বলেন তিনি। সেখানে গেলে সাঈদীকে থাপ্পড় ও লাথি মারেন মানিক। সেই সাথে, সাঈদীর বাবা-মাকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হল থেকে বের করে দেয়ার হুমকিও দেয় মানিক।
মাস্টারদা সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমান মারধরের কথা অস্বীকার করে জানান, কথা কাটাকাটি থেকে মৃদু ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। আর এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
/এম ই
Leave a reply