মেহেরপুর প্রতিনিধি:
মেহেরপুরে হঠাৎই ছড়িয়েছে জ্বিন সাপের গুজব। উজলপুর গ্রামে এক কিশোর মারা যাওয়ার পর অদৃশ্য সাপের কামড়ে তার মৃত্যু হয়েছে এমন কথা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামজুড়ে। এরপর দুই সপ্তাহে প্রায় অর্ধশত মানুষ একই রকম দাবি করেছেন। মৌমাছির কামড় কিংবা কঞ্চির খোঁচা সবকিছুকেই এখন ‘জ্বিন সাপ’ ভেবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন গ্রামবাসী। এ সুযোগে আয় করে নিচ্ছেন গ্রামের ওঝা-কবিরাজরাও।
মেহেরপুর সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামে গত ২ সপ্তাহে এমন উদ্ভট দাবি করেছেন অন্তত ৩০-৪০ জন। অদৃশ্য সাপের ছোবলের চিকিৎসা নিতে ছুটছেন ওঝা আর কবিরাজের কাছে। এ ঘটনার শুরু গত ১৩ মে রাতে। গ্রামের কুঠিপাড়া এলাকার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুরসালিন হঠাৎই রাতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নেয়া হলে মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুর কারণ অদৃশ্য সাপের দংশন কিনা পরিবারের কাছে তা স্পষ্ট না হলেও এলাকায় এরপর থেকেই ছড়িয়ে পড়ে জ্বিন সাপের গুজব।
এদিকে, গুজব আর আতঙ্ক ঘিরে রীতিমতো ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন স্থানীয় কবিরাজ আর ওঝারা। পুলিশের ভয় দেখালে স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে স্বীকারও করেছেন বুজরুকির কথা। কুতুবপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন বলেন, যখন পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়ার কথা বলি, এসব ওঝারা তখন বলে, আমরা ভুল করে ফেলেছি। জ্বিন সাপ বলে কিছুই নেই।
সাপের কামড় কিংবা যেকোনো অসুস্থতায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাসিবুস সাত্তার। ঘটনাটি পর্যবেক্ষণের আশ্বাস দিয়ে তিনি জানান, আমরা প্রয়োজনে গ্রামে যাবো। সেখানে কী হচ্ছে জানা চেষ্টা করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।
তবে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি ওঝাদের কেউ।
এসজেড/
Leave a reply