করোনা মহামারির সময় আরোপিত লকডাউনে নিজের বাসভবনে পার্টি করা নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে নিয়ে। এর জেরে চাপে পড়ে তার সরকার। এ নিয়ে প্রায় ছয় মাস ধরে তদন্ত চলার পর অবশেষে দোষ স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। খবর বিবিসির।
টানা তদন্তের পর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় বুধবার (২৬ মে)। সেখানে ২০২০ সালে করোনার কারণে চলা লকডাউনের সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে হওয়া একাধিক পার্টির ছবি ও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়। লকডাউনের সময় সমস্ত দেশের মানুষ যেখানে গৃহবন্দি, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর আইন ভেঙে এভাবে গণজমায়েত করে পার্টি করার বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন পর বৃহস্পতিবার হাউস অব কমন্সে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চান জনসন। তিনি বলেন, গোটা বিষয়ের যাবতীয় দায়ভার আমি নিচ্ছি। এই ঘটনা থেকে আমি শিক্ষা পেয়েছি। সার্বিকভাবে আমি জানাচ্ছি, আমার উপস্থিতিতে যা কিছু ঘটেছে তার সব কিছুর সম্পূর্ণ দায়ভার আমার।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে আয়োজিত এসব পার্টিতে যোগদানকারী একাধিক ব্যক্তিকে জরিমানা করেছে পুলিশ। তবে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধী দল বিশেষ করে লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বরিসের পদত্যাগের জোর দাবি জানানো হয়েছে।
এসজেড/
Leave a reply