সাবেক স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ, তথ্যপ্রযুক্তির জালে ফেঁসে গ্রেফতার আসামি

|

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, পটুয়াখালী:

আগুনে পুড়িয়ে সাবেক স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে আবদুল জলিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৭ মে) রাত পৌনে আটটার দিকে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা এলাকা থেকে ঘটনার বারো ঘণ্টার মধ্যেই কুষ্টিয়া পুলিশের সহায়তায় পটুয়াখালী পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বাউফল সার্কেল) সাহেদ চৌধুরী।

পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রথম স্ত্রী ইতি বেগমের শরীরে ও তার ঘরে আগুন দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন আবদুল জলিল। তাকে কুষ্টিয়া থেকে পটুয়াখালীর দুমকী থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে। সাহেদ চৌধুরী জানান, তথ্য প্রযুক্তির জালে ফাঁসিয়ে বারো ঘণ্টার আগেই জলিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা এলাকায় জলিল তার দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে খুব সহজেই তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় তাকে।

এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় মৃত ইতি বেগমের বাবা আবদুল মান্নান বাদী হয়ে আবদুল জলিলকে প্রধান আসামি করে দুমকী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দুমকী থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুস সালাম জানান, ইতি বেগমের লাশ পোস্টমর্টেম শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নিহত ইতি ঢাকার একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করতেন। প্রায় ৭ বছর আগে কুষ্টিয়ার জলিলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়ি পাঙ্গাশিয়ায় আসেন ইতি। প্রথমে ভালোই চলছিল তাদের সংসার। এর ম‌ধ্যে তাদের একটি ছেলে হয়। বছর দুই আগে থেকে জলিল যৌতুকের দাবিতে ইতিকে মারধর শুরু করে। স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে ইতি এক সপ্তাহ আগে জ‌লিল‌কে তালাক দেয়।

ইতির ভাই মো. ফারুক খান জানান, তালাকের কাগজপত্র হাতে পেয়ে মোবাইল ফোনে ইতিকে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দেয় জলিল। ২৬ মে রাতে জলিল ঢাকা থেকে দুমকী‌তে আ‌সে। ওই দিন রাত পৌনে ১২টার দিকে ইতির ঘরে আগুন ধরে যায়। ধোঁয়ার গন্ধ পেয়ে ঘরে ছুটে যান ইতির বাবা-মা। ইতির ভাইয়ের দাবি, ঘটনাস্থলে পৌঁছানো মাত্র জলিলকে পালিয়ে যেতে দেখেন তারা।

প‌রে অ‌গ্নিদগ্ধ অবস্থায় ই‌তি‌কে উদ্ধার ক‌রে পটুয়াখালী মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে নেয়ার পর তাকে ব‌রিশা‌লে পাঠানোর পরামর্শ দেয়া হয়। পরে ব‌রিশাল মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতাল থে‌কে ঢাকায় নেয়ার সময় মারা যান ইতি।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply