স্কুলে টিকটক করায় ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, প্রতিবাদে ভাঙচুর

|

সিনিয়র করেসপনডেন্ট, নাটোর:

টিকটক ভিডিও তৈরির অভিযোগে নাটোরে তিন স্কুল শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে স্কুলে ভাঙচুর ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীদের একাংশ।

রোববার (২৯ মে) স্কুল চলাকালীন সময় বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রকলা এসআই উচ্চ বিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত তিন শিক্ষার্থীসহ স্কুলের আরও কিছু শিক্ষার্থী এ প্রতিবাদ ও ভাঙচুর করে। পরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং ঘটনাস্থল থেকে তিন শিক্ষার্থীকে আটক করে।

চন্দ্রকলা এসআই উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান শাহ জানান, শনিবার (২৮ মে) ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বুলবুল আহমেদ স্কুলের ৯ম শ্রেণির তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে টিকটক করার অভিযোগে তাদের স্কুল থেকে বহিষ্কারাদেশ দেন। এরপর তাদের স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা রোববার সকালে স্কুলে এসে ঘটনাটি জানতে পারে। পরে তারা তাদের বহিষ্কারের কারণ জানতে চাইলে তাদের হাতে ছাড়পত্র ধরিয়ে দেয়া হয়। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির অপসারণ চেয়ে স্কুল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ শুরু করে। এরই এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের সাথে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে স্কুলের জানালাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।

খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা খাতুন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিন শিক্ষার্থীকে আটক করে।

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বুলবুল আহমেদ জানান, তিন শিক্ষার্থী শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাদের অভিভাবককে ডেকে একাধিকবার সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। তাদের অভিভাবকরা মুচলেকাও দিয়েছে। কিন্তু তাদের আচরণের কোনো পরিবর্তন হয়নি। সম্প্রতি তিনজন মিলে স্কুল চলাকালীন সময়ে স্কুল প্রাঙ্গনেই টিকটক ভিডিও তৈরি করে। তাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বহিষ্কার করা হয়। একটি পক্ষ এই শিক্ষার্থীদের ইন্ধন দিয়ে বিদ্যালয়ে হামলা করিয়েছে বলে মনে করেন তিনি। এ বিষয়ে মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিম আহম্মেদ জানান, অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply