আরাকান স্যালভেশন আর্মি বা আরসা সম্পর্কে ধারণা নেই বেশিরভাগ শরণার্থী রোহিঙ্গার। মিয়ানমার সামরিক বাহিনী, তাদের রাখাইন থেকে নির্মূল করতেই এই নাম ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ রোহিঙ্গাদের। জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের মতে রাখাইন এখন মৃত্যুপুরি। সেখানে ফিরে যাওয়ার আগ্রহও নেই অধিকাংশ শরণার্থীদের।
আরাকান স্যালভেশন আর্মি বা আরসা নামে একটি সশস্ত্র সংগঠনের নাম আলোচনায় আসে ২০১২ সালে। তবে তারা যে, রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষায় মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করছে, তার নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পাওয়া দুষ্কর। রাখাইন ছেড়ে যেসব মানুষ প্রাণ নিয়ে পালিয়ে এসেছেন তাদের কাছে জানতে চাইলে বেশিরভাগ শরণার্থীই বলেন, আরসা সম্পর্কে কিছুই জানা নেই তাদের। রোহিঙ্গাদের ধারণা, সামরিক বাহিনীর নির্যাতন ও তাদেরকে রাখাইন থেকে নির্মূল করতেই বলা হচ্ছে আরসা’র কথা।
বেশ কয়েকজন প্রবীণ রোহিঙ্গা শরনণার্থী জানান, আরসা নামের কোনো সংগঠনের কাউকে তারা কোনোদিন দেখেননি। এদের একজন যমুনা টেলিভিশনকে জানান, ‘ওরা আমাদের ভালোর জন্য কখনো কাজ করে না। আমার পরিচিত কেউ সেখানে নেই।’
আরেকজন বৃদ্ধা বলেন, আরসার কথা শুধু টিভিতেই শুনেছি। ওদের কাউকে আমরা দেখিনি। ওরা হামলা চালিয়েছে এটাও শোনা কথা। কেউ নিজ চোখে কিছু দেখেনি।’
একজন শরণার্থী তরুণ যমুনা টেলিভিশনকে জানান, আরসার নাম দিয়ে সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের অত্যাচার করছে। আরসা ওদেরই বানানো সংগঠন।
এ বিষয়ে নারী-পুরুষ, প্রবীণ-তরুণ নির্বিশেষে যাদের সাথেই কথা বলা হয়েছে তারা আরসা ও এর কর্মকাণ্ড নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। তাদের ভাষ্য ‘আরসা’ নামে রোহিঙ্গাদের দমন-পীড়ন ও নির্মূলের কৌশল নিয়েছে সেনাবাহিনী।
অবশ্য আরসার ভাষ্য, তারা আরাকানের স্বাধীনতা চান সশস্ত্র উপায়ে। কয়েকদিন আগে অস্ত্র বিরতির খবরও প্রকাশ হয়। রোহিঙ্গারা বলছেন, অস্ত্রে বিশ্বাস করলে জন্মভূমি ছেড়ে পালাতেন না তারা।
যতটুকু জানা যায়, ৫০ এর দশকে রোহিঙ্গারা আন্দোলন স্থগিত করে। তখন তাদেরকে নাগরিকত্ব দেয়ার দাবি মেনে নিয়েছিল মিয়ানমার।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply