আরও বাড়বে নিত্য খাদ্যপণ্যের দাম, তালিকায় নয়া সংযোগ ডিম

|

নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের চড়া দামের তালিকা লম্বা হচ্ছে। এতে যুক্ত হয়েছে অপেক্ষাকৃত স্বল্প মূল্যের আমিষের উৎস ডিমও। সংরক্ষণজনিত জটিলতায় গরমের সময়ে ডিমের দাম কিছুটা কম থাকে, কিন্তু এ বছর উল্টে গেছে চিত্র। দু’সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি পিসের দাম বেড়েছে ২ টাকারও বেশি। খামারীরা বলছেন, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে মাছ-মাংসের ভূমিকা অপরিসীম। বর্তমানে মাছ-মাংসের দরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। অনেকেরই আমিষের চাহিদা পূরণ হয় ডিম দিয়ে। ঈদের আগেও ডিমের বাজার স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। দু’সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি পিস ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বেড়েছে ২ টাকারও বেশি। বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। হাঁস ও দেশি মুরগির ডিমের দামও বেড়েছে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। সীমিত আয়ের অনেকেই ডিম কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন।

কিন্তু কেনো এই বাড়তি দাম? অজুহাতের শেষ নেই খুচরা বিক্রেতাদের কাছে। অভিযোগের তীর খামারী ও আড়তদারদের দিকে। দাম বাড়ার জন্য খামারীরা দুষছেন বৈরী আবহাওয়াকে। অন্যদিক পোল্ট্রি ফিডের চড়া দামের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বেড়েছে ওষুধের দামও।

এ নিয়ে প্রাণিসম্পদ অফিস বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে দেশ। চলতি অর্থবছরে ডিম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার ২৬৬ কোটি পিস।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply