১০০ দিনে গড়িয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর মাঝেই মারিওপোল প্রশাসন দাবি করেছে, নতুন ২৬টি গণকবরের সন্ধান মিলেছে। আর এসব গণকবরে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে কমপক্ষে ১৬ হাজার বাসিন্দাকে। যুদ্ধের এ পর্যায়ে এসে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলদিমের জেলেনস্কি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে, দোনবাস অঞ্চল থেকে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে তারা। সেই সাথে, হাতছাড়া হচ্ছে আশপাশের ছোট শহরগুলো। খবর সিএনএনের।
রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে দোনবাস অঞ্চল রক্ষায় প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেনীয় সেনারা। তারা অনেকটাই চালিয়ে যাচ্ছে সম্মুখ সমর। রুশ সেনারা দাবি করেছেন, এতোদিন বাইরে থেকে গোলাবর্ষণ-মিসাইল ছুঁড়লেও এবার অঞ্চলটির মূল সীমারেখায় প্রবেশ করেছে তারা। সেই অগ্রযাত্রা ঠেকাতেই মাল্টিপল রকেট লঞ্চার মোতায়েন করেছে কিয়েভ।
পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘স্টাডি অব ওয়ার’ বলেছে, ২০১৪ সালেই কৌশলে ক্রাইমিয়া দখলে নিয়েছিল রাশিয়া। এবারের যুদ্ধে মাইকোলাইভ, খেরসন ও মারিওপোলে পূর্ণনিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে দেশটি। তাছাড়া, স্বাধীন ঘোষিত দোনেৎস্ক-লুহানস্ক ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ শহর খারকিভ দখলের পথে রয়েছে পুতিনের সেনাদল।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইঙ্গিত দিয়েছেন, উদ্দেশ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সামরিক অভিযান চলবে। তিনি বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে দুটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। একটি পররাষ্ট্রনীতি, অপরটি রাশিয়ার সুরক্ষা। পশ্চিমাদের লক্ষ্যই হলো আমাদের ধ্বংস। কোনোভাবেই সে উদ্দেশ্য সফল হতে দেয়া যাবে না। ইউক্রেনে টার্গেট পূরণ না হওয়া পর্যন্ত চলবে সামরিক অভিযান। সেগেই ল্যাভরভ পরিষদের পরবর্তী স্পিকার। তিনি দেবেন নেতৃত্ব।
রণক্ষেত্রে কোণঠাসা অবস্থানের কথা অস্বীকার করছেন না ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। বারবারই তাই ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সমঝোতা আলোচনার ওপর গুরুত্বারোপ করছেন তিনি। জেলেনস্কি বলেন, দোনবাসের পরিস্থিতি বেগতিক। আমাদের প্রতিরোধ বলয় ভেঙে দিতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে রুশ সেনাবহর। সেভরেদোনেৎস্ক-বাখমুতের মতো এলাকাগুলো তাদের মূল টার্গেট। নতুনভাবে গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে খারকিভে। এছাড়া, কৃষ্ণ ও আজভ সাগরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বন্দরও তাদের দখলে। যে কারণে ২২ মিলিয়ন টন শস্য রফতানি করতে পারছি না। তবে, যেকোনো মূল্যে নিজ ভূমি দখলমুক্ত করে ছাড়বো।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক কমিশন বলছে, রুশ হামলায় গেলো তিন মাসে ইউক্রেনের বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ; যাদের ৬০ ভাগই খারকিভ, দোনবাসের বাসিন্দা। তাছাড়া, ৬৮ লাখের বেশি আশ্রয় নিয়েছেন প্রতিবেশী দেশগুলোয়।
আরও পড়ুন: চাদে স্বর্ণখনিতে ভয়াবহ সংঘর্ষ, নিহত কমপক্ষে ১০০
/এম ই
Leave a reply