গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
আসামির স্বজনের সাথে ঘুষ লেনদেনের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের ওসি মো. তৌহিদুজ্জামানকে বরিশাল বিভাগে বদলি করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে তাকে বদলি করা হলেও মঙ্গলবার (৩১ মে) স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা বিষয়টি জানতে পারেন বলে জানা গেছে।
বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বরিশাল রেঞ্জে তাকে বদলি করা হয়। তবে ঘুষ লেনদেনের ফোনালাপের অডিও ফাঁসের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে কিনা সে বিষয়ে পুলিশ সুপার কোনো মন্তব্য করেননি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তদন্তে যা পাওয়া গেছে, সেগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখবেন।
এর আগে, গত ১৬ মার্চ ‘ওসির ঘুষ নেয়ার অডিও ফাঁস নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করে যমুনা টেলিভিশন। পরে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি ও তৎকালীন গাইবান্ধা ডিবি পুলিশের ওসি তৌহিদুজ্জামানকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। একই সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) মো. আবদুল আউয়ালকে আহবায়ক করে এক সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। পরবর্তীতে তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১০ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত উপ-দফতর সম্পাদক মাসুদ রানার (৪২) শহরের নারায়ণপুর এলাকার বাসা থেকে ব্যবসায়ী হাসান আলীর (৪৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ নিয়ে নিহতের স্ত্রী বিথী বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় মাসুদ রানা, রুমেল হক ও খলিলুর রহমানসহ তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। নিহত হাসানের সঙ্গে তাদের ব্যবসায়িক সর্ম্পক ছিল। এ মামলায় মাসুদসহ তিন আসামি বর্তমানে জামিনে আছেন।
এই মামলার সর্বশেষ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দায়িত্ব পান তৎকালীন গাইবান্ধা ডিবি পুলিশের ওসি ও সুন্দরগঞ্জ থানার সেই ওসি মো. তৌহিদুজ্জামান। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা তৌহিদুজ্জামানের সঙ্গে মামলার আসামির দুই স্বজনের ঘুষ লেনদেনের ফোনালাপের অডিও ফাঁস হয়। অভিযোগপত্র থেকে দুই আসামির নাম বাদ দেয়া ও আইনের ধারা কমিয়ে দিতে টাকা লেনদেনের কথাবার্তা হয়। কিন্তু এক আসামির নাম বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দিলে ঘুষের টাকা ফেরত প্রদানে ফোনালাপ হয়।
/এসএইচ
Leave a reply