পরমাণু ইস্যুতে ফের মুখোমুখি ইরান-ইসরায়েল

|

ইরানের নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের স্যাটেলাইট চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।

আবারও পরমাণু ইস্যুতে মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে ইরান ও ইসরায়েল। পরমাণু বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএইএ এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তি এবং সীমারেখার মাত্রাতিরিক্ত ইউরেনিয়াম উৎপাদন করছে ইরান। প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়, দেশটির পরমাণু কর্মসূচির বিভিন্ন অসামঞ্জস্যতাও। তেহরানের অভিযোগ, ইসরায়েলের চাপে এ ধরনের প্রতিবেদন দিয়েছে আইএইএ। পাল্টা অভিযোগে তেল আবিবের দাবি, মিথ্যাচার করছে তেহরান। খবর এনডিটিভির।

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সম্প্রতি প্রতিবেদন দাখিল করে পরমাণু বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএইএ। বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, মারিভান, ভারামিন এবং তুরকাজাবাদ পরমাণু প্রকল্পের পুরো তথ্য পায়নি সংস্থাটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, চুক্তি এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও ইউরেনিয়াম মজুদ অব্যাহত রেখেছে ইরান। ২০১৫ সালে বিশ্ব শক্তিগুলোর সাথে চুক্তির পর, নির্ধারিত সীমার ১৮ গুণ বেশি বেড়েছে দেশটির ইউরেনিয়াম মজুদ। এমনকি নির্ধারিত সীমার চেয়ে প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ বেশি সমৃদ্ধ করা হয়েছে ইউরেনিয়াম।

আইএইএ’র এই প্রতিবেদনের পরই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ইরানের। তেহরানের অভিযোগ, ইসরায়েলের চাপে সাজানো প্রতিবেদন তৈরি করেছে আইএইএ। এ নিয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইদ খতিবজাদেহ বলেন, আইএইএ’র এই প্রতিবেদন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নয়। ইহুদিবাদীদের চাপে পড়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। কৌশলগত অনেক বিষয় নিয়েই মিথ্যাচার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, অনেক দেশকে বাধ্য করছে আমাদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে।

এদিকে, তেহরানের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে তেল আবিব বলছে, পরমাণু কর্মসূচির তথ্য অনেকদিন ধরেই গোপন রাখছে ইরান। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেন, ইরান বহু আগে থেকেই তাদের কর্মসূচির তথ্য গোপন রাখছে। এমনকি তারা জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক সংস্থাটির বিভিন্ন তথ্যও চুরি করেছে। আর ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যে মিথ্যাচার করবে সে পরিকল্পনাও আগেই করে রেখেছিল। এ সম্পর্কিত সব তথ্য প্রমাণ আমাদের কাছে আছে।

২০১৫ সালের জুলাই মাসে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে চুক্তি করে ছয় বিশ্ব শক্তি। ইউরেনিয়ামের মজুদ কমিয়ে আনার বিনিময়ে ইরানের ওপর থেকে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয় পশ্চিমারা। যদিও ক্ষমতায় এসেই ওই চুক্তি বাতিল করেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply