জাতিগত বিদ্বেষের বিরুদ্ধে কথা বলতে হোয়াইট হাউসে বিটিএস

|

ছবি: সংগৃহীত

জাতিগত বিদ্বেষের বিরুদ্ধে কথা বলতে ‘কে-ওয়েভ’ নিয়ে হোয়াইট হাউসে গেছে বিশ্বখ্যাত দক্ষিণ কোরিয়ান ব্যান্ড বিটিএস। মঙ্গলবার (৩১ মে) তারা সাক্ষাৎ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে। যুক্তরাষ্ট্রে আশঙ্কাজনক হারে হেইট ক্রাইম বাড়ায় তারা উদ্বেগ জানান। এশিয়ানদের ব্যাপারে বিদ্বেষ দূর করে অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়ার বার্তা দেন তরুণ সুপারস্টাররা।

করোনা মহামারি শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায় হেইট ক্রাইমের ঘটনা। বিশেষ করে চরম বিদ্বেষের শিকার হতে শুরু করে এশিয়রা। তারই জেরে ওয়াশিংটনে অসাম্প্রদায়িকতার বার্তা দিলেন বর্তমান বিশ্বের বেস্ট সেলিং ব্যান্ড বিটিএসের তরুণ তারকারা। বিটিএসের দলনেতা আরএম বলেন, বিদ্বেষের বিরুদ্ধে আইন নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। হোয়াইট হাউসে এসে এ বিষয়ে কথা বলতে পারাটা নিঃসন্দেহে সম্মানের।

বিটিএস সদস্য পার্ক জি-মিন বলেন, এশিয়ানদের বিরুদ্ধে হেট ক্রাইমের ঘটনাগুলো ভীষণ কষ্ট দিতো। এগুলো বন্ধ করতে সোচ্চার থাকতে চাই।

বিশ্বখ্যাত ব্যান্ডটির আরেক সদস্য মিন ইয়ুং গি (সুগা) বলেন, ভিন্ন হওয়া কখনই কোনো অপরাধ নয়। আর সম্ভাবনা ও সমতার পথ তখনই প্রসারিত হয় যখন নিজেদের মধ্যকার সব পার্থক্য ভুলে একে অপরকে আপন করে নিই।

বিটিএস সদস্য ভি বলেন, সবারই আছে স্বতন্ত্র ইতিহাস। আশা করি, প্রতিটি মানুষকেই মূল্যবান হিসেবে বুঝতে পারা ও সম্মান প্রদর্শনের ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

জো বাইডেনের সাথে বিটিএস। ছবি: সংগৃহীত

হেট ক্রাইম নিয়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে বিশ্বখ্যাত তরুণদের এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ঘৃণা বিষয়টি মানুষের মনে সব সময় থাকে। কিন্তু যখন ভালো মানুষেরা এটা নিয়ে কথা বলে, তখন বিষয়টি কমে আসে। তোমাদেরকে মানুষ ভালোবাসে, কথার গুরুত্ব দেয়। এখানে এসে বৈষম্য নিয়ে কথা বলার জন্য ধন্যবাদ।

কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনেও সক্রিয় ছিল বিটিএস আর্মি।

আরও পড়ুন: স্বৈরতন্ত্র বিশ্ব চালাবে: বাইডেনকে জিনপিং

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply