স্টাফ করেসপনডেন্ট, যশোর:
যশোরের বাঘারপাড়ার বৃদ্ধ নকিম উদ্দিন মোল্লার হত্যাকাণ্ডে জড়িত লিটন মালিতাসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা জানিয়েছে চির যৌবন প্রাপ্তির আকাঙ্খায় বৃদ্ধ নকিম উদ্দিন মোল্লাকে (৬০) নৃশংসভাবে খুন করেন লিটন। কথিত কবিরাজ আব্দুল বারেকের নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বলেও জানিয়েছে গ্রেফতারকৃত লিটন মালিতা।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) বেলা ১১টায় যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানান, গত ৩০ মে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার পাইকপাড়া গ্রাম থেকে পুরুষাঙ্গ কাটা এবং ডান চোখ উপড়ানো অবস্থায় নকিম উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মাজহারুল ইসলাম বাঘারপাড়া থানায় একটি মামলা করেন। মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতারের লক্ষ্যে ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম যশোর, মাগুরা ও ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালান।
এরপর, বুধবার (১ জুন) মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানাধীন চর ঘিওর মাঠে কৃষক সেজে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়া লিটন মালিতাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন পুলিশ সদস্যরা। পরে গ্রেফতারকৃতের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একটি খড়ের গাদার (বিচালি) ভেতর থেকে নকিম উদ্দিনের শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা পুরুষাঙ্গ, অণ্ডকোষ ও চোখের মণি উদ্ধার করা হয়। সেইসাথে তার দেয়া তথ্য মতে অভিযান চালিয়ে সেদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থানাধীন লোকনাথপুর থেকে তান্ত্রিক কবিরাজ আব্দুল বারেককেও গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত লিটন আরও জানান যে তিনি বৈবাহিক জীবনে সুখী ছিলেন না। গত ৮ বছর ধরে কবিরাজের কাছে বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসাও নিয়েছেন, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছিলো না। এরপর, কবিরাজ তাকে কোনো পুরুষের লিঙ্গ, অণ্ডকোষ ও চোখের মণি অর্জন (যোগাড়) করে অন্তত যৌবনের অধিকারী করে দেয়ার আশ্বাস দেয়। সে কারণেই তিনি বেশ কিছুদিন ধরে কখনও রিকশাচালক, কখনও কৃষিশ্রমিক আবার কখনও দিনমজুর হয়ে কাজ করে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। কিন্তু তাদের হত্যা করে শরীরের ওইসব অঙ্গ সংগ্রহ করতে পারেননি। সর্বশেষ নকিম উদ্দিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর অঙ্গগুলো সংগ্রহ করেন বলে জানান লিটন।
/এসএইচ
Leave a reply