চাঁপাইনবাবগঞ্জে চক্ষু হাসপাতাল দখলের অভিযোগ

|

স্টাফ করেসপনডেন্ট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:

বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখা পরিচালিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল দখলের অভিযোগ করেছেন চলতি কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম। তার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার (২ জুন) সকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ দলবল নিয়ে চক্ষু হাসপাতালটি দখলে নেন।

এ সময় তার সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যপক শরিফুল আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল জলিল, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. সাইফ জামান আনন্দ পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সালসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন বলেও অভিযোগ করেন আব্দুল হাকিম। বলেন, তাকেসহ চক্ষু হাসপাতালে থাকা চলমান কমিটির সদস্যদের অফিস কক্ষ থেকে বের করে দেয় পুলিশ।

পরে জোরপূর্বক হাসপাতাল দখলে নেয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন চলমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হাকিম বলেন, কমিটি নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আগামী ৭ জুলাই শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। আহ্বায়ক কমিটির চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক মিলে অপকৌশল করে অবৈধ কমিটির গঠন করেছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে ‘গুন্ডা-মাস্তান’ বাহিনী নিয়ে চক্ষু হাসপাতাল দখলে নেয় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ। এর আগে সকালে হাসপাতাল থেকে পুলিশ আমাকে বের করে দিয়েছে। এতে হাসপতালটির চিকিৎসাসেবা ব্যহৃত হবে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে বর্তমান কমিটির ভাইস চেয়াম্যান খাদেমুল ইসলাম বলেন, আব্দুল হাকিম ছিলেন ৬ষ্ঠ মেয়াদের কমিটির সাধরণ সম্পাদক। গত বছর ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। পরে এডহক কমিটি গঠন করা হয়। আব্দুল হাকিমও ওই কমিটির সদস্য ছিলেন। তবে নতুন কমিটি গঠনে কোনো সহযোগিতা না করে পদ দখলে রেখেছিলেন। এর পরে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। খাদেমুল ইসলাম বলেন, আব্দুল হাকিম হুমকি দেয়ার কারণে বর্তমান কমিটির চেয়ারম্যান দলবল নিয়ে চক্ষু হাসপাতালে গিয়েছিলেন।

বর্তমান কমিটির চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ বলেন, আগের কমিটির মেয়াদ ৬ মাস আগেই শেষ হয়ে গেছে। কমিটির নির্বাচনের সময় কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। সুতরাং আমরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছি। মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, আব্দুল হাকিম কোনো মামলার বাদি নন। ফলে এখানে মামলা সংক্রান্ত কোনো জটিলতা নেই।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোজাফফর হোসেন বলেন, কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কী ঝামেলা রয়েছে তা তার জানা নেই। তবে এ নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply