মূল্যস্ফীতি ও দারিদ্র্যতায় জর্জরিত অর্থনীতি, বড় চ্যালেঞ্জের মুখে এবারের বাজেট

|

দেশে বাড়েছে দারিদ্র্যতা।

একদিকে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ, অন্যদিকে মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় অস্থিরতা। সেই সাথে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দারিদ্র্যতা। সবকিছু মিলিয়ে নানামুখী চাপে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। শৃঙ্খলা ফেরাতে যখন হিমশিম অবস্থায় সরকার, ঠিক সেই সময়ে এসেছে বাজেট। বলা হচ্ছে এবারের বাজেটে সরকারকে মোকাবেলা করতে হবে একাধিক চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, রেমিট্যান্স প্রবাহে গতিশীলতা এবং বহির্বাণিজ্যে স্থিতিশীলতা জরুরি। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরও দীর্ঘমেয়াদি হলে শঙ্কা বাড়বে।

বর্তমানে আকাশ ছুঁয়েছে পণ্যের দাম। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে প্রায় সব ধরনের পণ্য। মূলত করোনা এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে টালমাটাল পণ্যবাজার। দামের উত্তাপ নিয়ে সরকারও চিন্তিত। তাই ছোট করা হচ্ছে আমদানি নির্ভর পণ্যের বাজার। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিত্যপণ্য এবং সেবা ভোগ ব্যয় নিয়ে আসছে বাজেটে ভর্তুকি বাড়ানোই কি সমাধান? এ নিয়ে অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, একদিকে যেহেতু রাজস্ব আদায় বাড়ছে না। তাই ভর্তুকি বাড়াতে হলে অন্য দিক থেকে ব্যয় কমাতে হবে।

বৈদেশিক বাণিজ্যে এখন ঘাটতির রেকর্ড। হু হু করে বাড়ছে আমদানি, যদিও তার লাগাম টানছে সরকার। মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় অস্থিরতা বাড়ছে, কমছে টাকার মান। নানামুখী সঙ্কটে দেশে বেড়েছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। বেসরকারি হিসেবে বলা হচ্ছে, করোনায় দেশে নতুন করে দরিদ্র হয়েছে তিন কোটির বেশি মানুষ। বিপুল সংখ্যক এসব মানুষের জন্য বাজেটে পদক্ষেপ জরুরি।

ড. জাহিদ হোসেন বলেন, এই দশকে দারিদ্র্য বিমোচনের হার আগের দশকের চেয়ে কম। এই হার বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে তিনি। সেই সাথে করোনায় যারা দারিদ্র্যতার মধ্যে পড়েছেন তাদের পাশেও থাকতে হবে বলে জানান এ অর্থনীতিবিদ।

সরকার মনে করে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ দীর্ঘ হলে তার নেতিবাচক প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে সঙ্কট তৈরি করবে। বিশ্ব পরিস্থিতি দুর্বল হলে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাবে, এটিও উদ্বেগ বাড়াবে। এ নিয়ে অস্থিতিশীল বিশ্ববাজার উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, যুদ্ধ দীর্ঘ হলে আরও বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসবে। সেই সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও এর প্রভাব পড়ার কারণে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই যুদ্ধের প্রভাব আরব দেশসহ বিভিন্ন দেশে পড়ার কারণে প্রবাসীদের আয়ও কমবে। আর এর ফলে দেশের একটি শক্তিশালী পিলারে (রেমিট্যান্স আয়) আঘাত আসবে।

আগামী বাজেটে জনগণের সুরক্ষার দিকটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এম এ মান্নান।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply