আবারও আগুন সন্ত্রাসের দিকে যাচ্ছে বিএনপি, এমন অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে মহিলা লীগের প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভে তারা একথা বলেন। নেতারা বলেন, দেশকে আবারও অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোরভাবে তা প্রতিহত করা হবে।
শুক্রবার (৩ জুন) প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন কেন্দ্রীয় ও মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের মহিলা আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতাকর্মী। সমাবেশে বক্তারা বলেন, জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের এজেন্ট হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুহত্যা ও তার ছেলে তারেক রহমান শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা করেছিলেন। এখন তাদের দল আবারও সহিংসতার পথে ধাবিত হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, গণতান্ত্রিক ভাষায় আমরা তাদের জবাবে দেবো ঠিকই, তবে তারা যেভাবে সন্ত্রাসের পথে যাচ্ছে তারতে সারা দেশের মানুষের মধ্যে প্রতিরোধের আগুন জ্বেলে দিতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, জিয়াউর রহমান একজন সেক্টর কমান্ডার হয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিলেন। এবং বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর এই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সকল কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় স্লোগান জয় বাংলাকে নিষিদ্ধ করেছিলেন।
দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। বক্তারা দাবি করেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাবা রাজাকার ছিলেন। তার মতো দলটির শীর্ষ নেতাদের অনেকেই রাজাকারের উত্তরাধিকার। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। তিনি অভিযোগ করেন, পদ্মাসেতুর উদ্বোধন ও আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশকে আবারো নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেয়ার অপচেষ্টা করছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, যাদের রাজনীতিই হচ্ছে মানুষ হত্যার রাজনীতি, ধ্বংসের রাজনীতি, উন্নয়ন বিরোধিতার রাজনীতি, গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার রাজনীতি; সেই অপরাজনীতিকে স্বাধীন বাংলাদেশ মেনে নেবে না।
আরও পড়ুন: শুধু কারসাজি নয়, সরকারি লোকদের সম্পৃক্ততায় চালের দাম বেড়েছে: মির্জা ফখরুল
/এম ই
Leave a reply