সেক্সট্যাপ ব্ল্যাকমেইলের সাজায় বেনজেমার আপিল প্রত্যাহার

|

ছবি: সংগৃহীত

সতীর্থ ম্যাথিউ ভ্যালবুয়েনাকে ব্ল্যাকমেইল করার অপরাধে সাড়ে পাঁচ বছরের নির্বাসন শেষে ফ্রান্সের জাতীয় দলে ফিরেছেন করিম বেনজেমা। তবে এখনও তার মাথার ওপর ঝুলছে এক বছরের স্থগিতের সাজা। সেখান থেকে নিষ্কৃতির জন্য ভার্সেইর একটি আদালতে করা আপিল প্রত্যাহার করেছেন বেনজেমা। প্রয়োজনে স্বীকারোক্তি দিয়ে হলেও পরিত্রান চান তিনি। তবে তার আইনজীবী বিষয়টিকে ভালোভাবে নেননি।

প্যারিসে উয়েফা নেশনস লিগের ম্যাচে ডেনমার্কের বিপক্ষে ফ্রান্সের হয়ে দুর্দান্ত উদ্বোধনী গোল করেছেন করিম বেনজেমা। কিন্তু তাতেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হার এড়াতে পারেননি। ম্যাচটির কয়েক ঘণ্টা পরেই এই তারকা স্ট্রাইকার ঘোষণা দেন যে, তিনি ম্যাথিউ ভ্যালবুয়েনাকে সেক্সট্যাপ দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য এক বছরের স্থগিত শাস্তির বিরুদ্ধে করা আপিল প্রত্যাহার করেছেন।

সপ্তাহান্তে প্যারিসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারাতে সাহায্য করার পর বেনজেমা এখন ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে। আর এমন সময় আবার সামনে এলো ২০১৫ সালের সেই ঘটনা। ফ্রান্সের সাবেক সতীর্থ ম্যাথিউ ভালবুয়েনাকে সেক্সট্যাপ করে ব্ল্যাকমেইল করেছিলেন বেনজেমাসহ পাঁচজন। এ ঘটনায় ২০১৮ বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স দলের সাথে থাকা হয়নি বেনজেমার। সাড়ে পাঁচ বছরের নির্বাসন শেষে বেনজেমা এখন আবার নিয়মিত হয়েছেন ফ্রান্স দলে।

রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকা ফরোয়ার্ডের আইনজীবী হুগেস ভিজিয়ার বলেছেন, বেনজেমা মুক্তি চান। আর তাই দায় নিয়ে আদালত থেকে বের হয়ে আসতে চাইছেন। হুগেস ভিজিয়ার বলেন, বেনজেমার এই আপিল দৃশ্যত অপরাধবোধের একটি রায়কে সমর্থন করে। এটি একটি বিচারিক সত্য। কিন্তু এটি বাস্তবতা নয়।

বেনজেমার প্রাক্তন আইনজীবী আতোয়ান ভে বলেছেন, আপিল প্রত্যাহারের মাধ্যমে বেনজেমা নিজেকে দোষী সাব্যস্ত করলেন। তবে তিনি যে ভালবুয়েনার প্রতি কোনো দয়া প্রদর্শন করেননি সেটি প্রমাণিত। বরং সতীর্থের দুর্দশা দেখে মজা লুটেছেন। এখন ক্যারিয়ারের এই পাতাটি যেকোনো মূল্যে শেষ করতে চান বেনজেমা।

আরও পড়ুন: সতীর্থের মায়ের সাথে প্রেম আর শাকিরার সাথে পিকের প্রতারণা?

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply