১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনারে লাগা আগুন। তবে আগুনের ভয়াবহতার মাত্রা কমে এসেছে। যদিও বেড়েছে ধোঁয়া।
শনিবার (৪ জুন) এ কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন ১৬ জন। এদের মধ্যে আছেন তিন ফায়ার সার্ভিস কর্মীও। নিহত ও দগ্ধদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ও আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতালে।
বিএম কন্টেইনার ডিপোটি লম্বায় প্রায় ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চারদিক থেকেই আগুন নিভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে কিছুক্ষণ পরপরই বিস্ফোরিত হচ্ছে কন্টেইনার। তাই সতর্কভাবে নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে তারা। কিছু জায়গায় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আগুন ছিটানো হচ্ছে।
রাতে আগুন নেভাতে পানির যোগান পেতে কষ্ট হচ্ছিলো। তবে রোববার সকালে স্থানীয় একটি পুকুর থেকে একটির পর একটি গাড়ি পাশাপাশি রেখে পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট। ঘটনাস্থলে সহযোগিতা করার জন্য আশপাশের কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরের ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইউনিট যোগ দিয়েছে।
এ ঘটনার কারণে চট্টগ্রামের সকল চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আর সকল চিকিৎসককে হাসপাতালে যোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে চট্টগ্রামের জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালেও দগ্ধদের চিকিৎসা সেবা দিতে বলেছে সিভিল সার্জনের কার্যালয়।
Leave a reply