সীতাকুণ্ডের শীতলপুর যেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত কোনো জনপদ। চারদিকে বিস্ফোরণের ক্ষত। ধ্বংস্তুপ বাড়ছে কেবল। তিনদিনেও নেভেনি বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন। সেনাবহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগুন জ্বললেও তা নিয়ন্ত্রণে আছে।
সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল বলেন, আগুন প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। এখন এখানে বিপজ্জনক কোনো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নাই। তবে এ আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের একটু সময় লেগেছে।
এরমধ্যেই একদিকে নতুন উদ্যোমে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। অন্যদিকে চলছে উদ্ধার তৎপরতা। মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে পাওয়া গেছে আরও দুটি দেহাবশেষ। ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে বের করে আনা হয় দেহাবশেষ দু’টি। ধারণা করা হচ্ছে একটি নিখোঁজ ফায়ার ফাইটারের, অপরটি নিরাপত্তা কর্মীর।
এদিকে, উদ্ধার তৎপরতায় মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক আনিসুর রহমান জানান, রাসায়নিকের ১৫টি কন্টেইনার ধ্বংস হয়েছে। আরও ১২টি আলাদা করতে সক্ষম হয়েছে তারা। বিস্ফোরণের পর থেকে মালিকপক্ষ সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ তার।
মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজির আহমেদ। জানিয়েছেন, তদন্ত প্রতিবেদনের পর চিহ্নিতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তুপ সরানোর পাশাপাশি নিখোঁজদের সন্ধানে অনুসন্ধান জারি রেখেছে।
/এমএন
Leave a reply