কখন সুইং আর কখন জোরে বল, তালহার কাছে শিখলেন এবাদত

|

তালহা জুবায়েরের সাথে ল্যান্ডিং ও সুইং নিয়ে কাজ করেছেন এবাদত।

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জয় টাইগারদের পেস বিপ্লবের ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু ঘরের মাঠে মিরপুর টেস্টে মলিন পারফরমেন্সের পর প্রশ্ন উঠছে, আসলেই কতটুকু প্রস্তুত পেসাররা। উইকেট বুঝে সঠিক লেন্থে বল করাটা যে এখনো চ্যালেঞ্জিং, সেটা স্বীকার করছেন এবাদত হোসেন। ফ্ল্যাট উইকেটে ৬-৭ মিটার লেন্থে বল ফেলার অভ্যাস থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসার কৌশলই শিখছেন এই পেসার। কখন সুইং আর কখন জোরে বল করতে হবে তা শিখলে বিশ্ব ক্রিকেটে দাপট দেখানো সম্ভব হবে বলে বিশ্বাস করেন এবাদত। আর এক সময়ে টাইগার বোলার তালহা জুবায়েরের কাছ থেকে সে বিষয়ের কিছু টোটকা নিলেন এবাদত।

লেভেল-২ কোচিং কোর্সে থাকা তালহা জুবায়েরের কাছ থেকে কী শিখলেন; এমন প্রশ্নের জবাবে এবাদত হোসেন বলেন, সুইং নিয়েই কথা বলছিলাম যেহেতু উনি সুইং বোলার ছিলেন। নিউজিল্যান্ডেই উনি লক্ষ্য করেছেন একটি জিনিস। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের কন্ডিশন অনেকটা বাংলাদেশের মতোই ছিল। আর দ্বিতীয় টেস্টের উইকেটে ঘাস ছিল। আমরা প্রথম টেস্টের মতোই উইকেটে একইভাবে হিট করে গেছি। কিন্তু সাউদি ও বোল্ট কিন্তু হিট করেনি। কেবল সুইং করে গেছে। এই বিষয়টাই উনি আজকে বললেন। আমরা কীভাবে নেবো, সেটা ভেবেই উনি তখন বলেননি। আমি বললাম, তখন কেন বলেন নাই? তখন বললে তো আমাদের কাজে লাগতো! মিরপুরেও লঙ্কান পেসাররা ঘাস কাজে লাগিয়ে বল সুইং করেছে, আর আমরা হিট করে গেছি।

প্রতিনিয়ত শেখার চেষ্টা করে যান, এমনটি জানিয়ে এবাদত বলেন, তালহা ভাই কিন্তু অনেকদিন খেলে এ পর্যায়ে এসেছেন। আর আমি এখনও নতুন, প্রতিদিনই নতুন কিছু শিখতে চাই। উইকেট চেনার ব্যাপারে উনি সাহায্য করেছেন।

দেশের উইকেটের সাথে বাইরের চ্যালেঞ্জটা কোথায় সেটাও অকপটে জানালেন মাউন্ট মঙ্গানুইতে টেস্ট জয়ের নায়ক এবাদত হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশের উইকেট ফ্ল্যাট। সেখানে সামনে বল করলে ব্যাটারদের জন্য কাজ সহজ হয়ে যায়, সহজেই ব্যাটে বল পান তারা। এরকম উইকেটে তাই আমাদের একটু পিছিয়ে বল করতে হয়, যেমন ৬-৭ মিটার। আর বাইরের উইকেটে ঘাস থাকে। সেখানে সামনে বল করলে সুইং পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর আমাদের ৬-৭ মিটার দূরে বল করার অভ্যাস রয়ে গেছে। তাই সামনে বল করাটা একটু কঠিন হয়। এখন অনেকেই এই চেষ্টা করছে। এভাবে বল করে হয়তো দেশের মাটিতে সাফল্য পাবো না। কিন্তু বিদেশে ভালো করার এটাই উপায়।

আরও পড়ুন: ৯০ মিনিটের দুই ম্যাচে ৯৪টি গোল, ৪৮টি আত্মঘাতী!

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply