তরমুজ কিনে বারবার ঠকছেন? জেনে নিন সবচেয়ে ভালোটি চেনার উপায়

|

ছবি: সংগৃহীত।

গরম এলেই বাজারে তরমুজের চাহিদা বেড়ে যায়। তবে অনেক ক্রেতাই কোন তরমুজ ভালো তার জন্য নির্ভর করেন বিক্রেতার মতামতের ওপর। অর্থাৎ ‘ভালো তরমুজ দিও’ বলেই হাত-পা ঝেড়ে বিক্রেতার দেয়া তরমুজ ঘরে তোলেন অনেকে। এরপর সেই তরমুজ বাড়িতে এনেই মাথায় হাত।

ভালো তরমুজ বোঝার কিন্তু কিছু কৌশল আছে। সেসব কৌশল অনুসরণ করে কিনলে দোকানদারও আপনাকে ঠকাতে পারবে না।

মূলত ভালো তরমুজে প্রায় ৯২ শতাংশ জলীয় পদার্থ থাকতে পারে। ফলে তরমুজ যত পরিপক্ব হতে থাকে ততই বাড়তে থাকে এর ভর। পাশাপাশি, একবার বৃন্ত থেকে ছিন্ন করার পর তরমুজের জলীয় ভর আর বাড়ে না। ফলে মোটামুটিভাবে বলা যায়, একই মাপের একাধিক তরমুজের মধ্যে যেটির ওজন সবচেয়ে বেশি সেটিই সবচেয়ে বেশি রসালো। তাই তরমুজ কেনার আগে হাতে তুলে দেখুন কোন তরমুজের ওজন কতটা।

তরমুজ কেনার সময় একটি ভুল সবাই করে। তরমুজের নিচে হলুদ দাগ দেখলেই নিতে চান না অনেকে। এই দাগ হয় মাটিতে থাকার কারণে। ফলে যত বেশি হলুদ দাগ, সেটি পাকার জন্য বেশি সময় নিয়েছে। তাই সেই তরমুজই সবচেয়ে ভালো। পাকা তরমুজ বোঝার আরেকটি উপায় হলো, বোটার দিকে খেয়াল করা। তরমুজের বোটার দিক যত শুকনো হবে, তরমুজটি ততো পাকা।

ভালো তরমুজ কেনার দ্বিতীয় কৌশল হলো টোকা দিয়ে দেখা। কাঁচা তরমুজের গায়ে টোকা দিলে একটু বেশি শব্দ হয়। অন্য দিকে পাকা তরমুজে টোকা দলে আওয়াজ হয় কম। তাই টোকা দিয়ে যে তরমুজে আওয়াজ কম পাবেন নিঃসন্দেহে কিনে নিন সেটিই।

স্বাভাবিক আকারের তরমুজ কিনুন। এবড়ো-থেবড়ো আকারের তরমুজ মানেই সেটি জমি থেকে খুব বেশি পারি পায়নি।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply