খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে কেন দায় নিতে হবে, কাদেরের প্রশ্ন

|

বাজেট নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন ওবায়দুল কাদের।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছু হলে সরকারকে কেন দায়দায়িত্ব নিতে হবে; এমন প্রশ্ন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা নাজুক হলে বিএনপি নেতারা কেন বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনাচ্ছেন না।

শনিবার (১১ জুন) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাজেট নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায় আওয়ামী লীগ। সেখানে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার উদারতায় বিএনপি নেত্রী মুক্ত আছেন; মির্জা ফখরুলের আন্দোলনের কারণে নয়। এ সময়, বিএনপি নেতারা বিদেশে অর্থ পাচার করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুর কাদের বলেন, অর্থ পাচার নিয়ে কথা বলা বিএনপির ডাবল স্ট্যান্ড। দেশের মানুষ জানে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বিদেশে অর্থ পাচারের দায়ে দণ্ডিত। ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় এই বাজেট শক্তিশালী অর্থনীতির প্রতিফলন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ডলার সরকারের বিশাল অর্জন। করোনা পরিস্থিতি দু:সাহসিকভাবে মোকাবিলা করেছেন শেখ হাসিনা। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেল, সার, সয়াবিনের দাম বেড়েছে। মূল্য ঊর্ধ্বগতি রোধে প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেটে বিশাল পরিমাণ ভর্তুকি রেখেছেন। কৃষি, শিল্প, শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে করোনাকালীন প্রণোদনা দিয়েছে সরকার। বাজেটেও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষাখাতে বর্তমান বাজেটে প্রস্তাবিত বরাদ্দ বিএনপি জামাত আমলের মোট বাজেটের চেয়েও ৪০ শতাংশ বেশি। দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে বাজেট বড় গুরুত্ব রাখবে। যোগাযোগ খাতে আওয়ামী লীগ সরকার অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন। প্রস্তাবিত বাজেটেও যোগাযোগ খাতের জন্য বরাদ্দ বেড়েছে। বর্তমানে ২৬টি বৃহৎ প্রকল্প চলমান।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত ১৩ বছর ধরে শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ সোনালী অধ্যায় অতিক্রম করছে, যা বিশ্বের অনেক দেশের জন্য অনুকরণীয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেকোনো সঙ্কট ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা সম্ভব। এ বাজেট সরলভাবে বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে। আগামী নির্বাচনেও বিজয়ী হবে আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলসহ দেশের একটি চিহ্নিত মহল বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ করে। সেখানে ৭ শতাংশ করের বিনিময়ে অর্থ ফিরিয়ে আনলে তো তারা খুশি হবে। বেগম জিয়ার দুই পুত্র সিঙ্গাপুর, আমেরিকায় পাচার করেছে। সে টাকা ধরা পড়েছে এবং কিছু অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সিঙ্গাপুর এবং আমেরিকায় অর্থ পাচারের রেকর্ড করেছে খালেদা জিয়ার দুই পুত্র।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে পাচারের অর্থ ফিরিয়ে আনা হয়। দেশের অনেক টাকা পাচার হয়েছে। সে কারণেই পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এতে পাচারকারীরা উৎসাহিত হবে সে ধারণা ঠিক নয়।

আরও পড়ুন: বিশাল বাজেটে আয় ও ব্যয়ের অঙ্কে বড় ফারাক

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply