মোবাইল টাওয়ার থেকে নিঃসরিত হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত রেডিয়েশন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষণা বলছে, ভারত, চীন, জাপান, এমনকি আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন, আইটিইউ নির্ধারিত মাত্রার চেয়েও ঢাকায় রেডিয়েশন ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি। এই রশ্মি মানবদেহ, বিশেষ করে শিশুদের জন্য ক্ষতিকর। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি বলছে, গবেষণার বিস্তারিত তথ্য পেলে খতিয়ে দেখা হবে।
১৭ কোটিরও বেশি মোবাইল সংযোগ চালু বাংলাদেশে, যেগুলোকে সংযুক্ত করেছে ৪২ হাজারেরও বেশি বেইস ট্রান্সমিশন স্টেশন বা বিটিএস, যা মোবাইল টাওয়ার নামে পরিচিত। গ্রাহক বাড়ায় বাড়ছে টাওয়ারের সংখ্যা ও ঘনত্বও। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেশি হচ্ছে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ নির্গমণ। এই রেডিয়েশনের মাত্রা জানতে ঢাকার ৩৬১টি স্থানে বিটিআরসি অনুমোদিত যন্ত্র বসিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন গবেষকরা।
দেখা যায়, অনেক এলাকাতেই র্যাডিয়েশনের মাত্রা বেশি। বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ পল্লবী, নবাবপুর, গ্রিণরোড এমনকি অভিজাত এলাকা গুলশানেও এই হার সহনীয় মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি।
বিটিআরসি বলছে, শক্তিশালী নেটওয়ার্কের জন্যই বাড়ছে বিটিএস সংখ্যা। ফলে রেডিয়েশনও বাড়ার কথা। তবে তা বিপদসীমার ওপরে নয় বলে দাবি করছে সংস্থাটি।
চিকিৎসকরা বলছেন, সম্প্রতি মাথা ব্যথা থেকে নাক-কান-গলার সমস্যা এমনকি ‘ভুলে যাওয়া উপসর্গ নিয়ে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ভুক্তভোগীদের মধ্য স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যাও অনেক। অতিরিক্ত ফোন ব্যবহারের কারণেই এই দশা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফোর-জির পর অনেক এলাকায় ৫-জি চালুর কাজ চলছে। আর তা হলে বাড়বে র্যাডিয়েশনের মাত্রা। তাই এখনি এ বিষয়ে বিটিআরসিকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন গবেষকরা।
এটিএম/
Leave a reply