ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের অদূরেই ছিল লেখক বরিস রিনচেঙ্কোর ভাস্কর্য। ছিল বলা হচ্ছে এ কারণে যে, রুশ হামলায় দেশটির অনেক স্থাপনার সাথে ধ্বংস হয়ে গেছে অসংখ্য গ্রাফিতি আঁকা দেয়াল, স্মৃতিস্তম্ভ ও ভাস্কর্য। তবে বেসামরিক ইউক্রেনীয়রা থ্রিডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে রক্ষা করে চলেছেন দেশটির এসব ভাস্কর্য, স্মৃতিস্তম্ভসহ নানা সাংস্কৃতিক নিদর্শন। মোবাইল ফোনে পলিক্যাম নামক অ্যাপের মাধ্যমে স্ক্যান করে সংরক্ষণ করা হচ্ছে এসব সাংস্কৃতিক নিদর্শন।
সিএনএনে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, পলিক্যামের সফটওয়্যারে স্ক্যানকৃত ছবির একটি ভালো পিক্সেলের থ্রিডি প্রতিলিপি তৈরি হয়, যা জমা হয় ডিজিটাল আর্কাইভে। ‘ব্যাকআপ ইউক্রেন’ নামক একটি উদ্যোগের অংশ হিসেবে চিরস্থায়ীভাবে এই থ্রিডি প্রতিলিপি সংরক্ষণ করা হচ্ছে পলিক্যামে।
ইউক্রেনে রুশ আক্রমণ শুরুর মাস দেড়েক পর, এপ্রিলে এই প্রজেক্টটি শুরু করা হয়। প্রথম থেকেই এর উদ্দেশ্য ছিল দেশের সাংস্কৃতিক নিদর্শনগুলোকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা, অন্তত যেখানে পৌঁছুতে পারবে না রুশ ট্যাংকের গোলা। প্রজেক্টটির নির্মাতা জানান, ‘ব্যাকআপ ইউক্রেন’র স্ক্যান এতটাই উঁচু মানের যে, প্রয়োজনে শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে যেকোনো ভৌত স্থানে প্রদর্শন করা যাবে এসব থ্রিডি প্রতিলিপি। সেই সাথে, ধ্বংস হয়ে যাওয়া সাংস্কৃতিক নিদর্শনগুলোকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কাজেও ব্যবহার করা যাবে।
ভাইস’র ক্রিয়েটিভ এজেন্সি ভার্চু ওয়ার্ল্ডওয়াইডই মূলত ব্যাকআপ ইউক্রেনের ধারণাটি দিয়েছে। বৈশ্বিক সাংস্কৃতিক নিদর্শনগুলোকে সংরক্ষণের কাজ করা ডেনিশ ইউনেস্কো ন্যাশনাল কমিশন এবং ব্লু শিল্ড ডেনমার্কের সাথে একত্রে কাজ করে ভার্চু ওয়ার্ল্ডওয়াইড। ব্যাকআপ ইউক্রেন সম্পর্কে ভার্চু ওয়ার্ল্ডওয়াইডের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ও ব্যাকআপ ইউক্রেনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তাও থমসেন বলেন, ইউক্রেনের জাতীয় ঐতিহ্যকে ইচ্ছাকৃত সন্ত্রাসের মাধ্যমে ধ্বংস করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়তে চেয়েছিলাম আমরা। আর আমাদের শঙ্কা দিনশেষে সত্যি হয়েছে।
আরও পড়ুন: একটি কারখানা ঘিরে ইউক্রেন ও রাশিয়ার পাল্টাপাল্টি দাবি
/এম ই
Leave a reply