মাদরাসা ছাত্রকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন, প্রধান শিক্ষক আটক

|

স্টাফ করেসপনডেন্ট, ফেনী:

ফেনীর দাগনভুইয়াতে হাতে-পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় নয় বছরের জাহেদুল হাছান নামে এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে রাতের অন্ধকারে রাস্তা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মাদরাসার প্রধান শিক্ষক ফখরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। শুধু এই শিক্ষার্থী নয় ওই মাদরাসায় এমন ঘটনার আরও প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, দাগনভূঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের দেউলিয়া নুরানীয়া হাফেজিয়া মাদরাসার হেফজ বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। একপর্যায় নির্যাতিত শিশুটি মাদরাসা থেকে পালিয়ে গেলে মধ্যরাতে টহলরত পুলিশের গাড়ির সামনে পড়লে পুলিশ শিশুটিকে শিকলবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করে।

শিশুটির বাবা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শনিবার শিশুটি মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে গেলে তাকে মাদরাসায় নিয়ে যান তিনি। ছেলেকে এই মাদরাসায় আর পড়াবেন না বলে প্রধান শিক্ষককে জানানো হয়। কিন্তু শিক্ষক এবারের মত মাদরাসায় রেখে যেতে অনুরোধ করায় তাকে মাদরাসায় রেখে আসেন। এরপর রাতে প্রধান শিক্ষক ক্ষুব্ধ হয়ে শিশুটিকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে মাদরাসার একটি কক্ষে আটকে রাখেন ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনা ছাড়াও মাদরাসাটিতে অনেক শিক্ষার্থীকে একইভাবে নির্যাতন করার প্রমাণ মিলেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আফসার সবুজ জানান, শিক্ষার্থীদের শাসনের নামে মধ্যযুগীয় এমন বর্বরতা কারোই কাম্য নয়। এই ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি করছি।

দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান ইমাম জানান, সকালে নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক ফখরুল ইসলামকে মাদরাসা থেকে আটক করা হয়েছে। আর এখন অভিভাবক থেকে অভিযোগ পেলেই পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply