ব্যয় সংকোচনে সরকার আরও কঠোর হচ্ছে। এরইমধ্যে নানা ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। জুলাই মাস থেকে আরও সংকোচনের পথে হাঁটবে অর্থ বিভাগ। শুধু বিদেশ ভ্রমণই নয়, প্রয়োজন নেই এমন ব্যয়ের খাত খুঁজে বের করে তা কাটছাঁট করবে অর্থবিভাগ।
এদিকে, সরকারের প্রতিটি ব্যয় নিরীক্ষার পরামর্শ বিশ্লেষকদের। অন্যদিকে, উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ ব্যবহারে আরও তৎপর হয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। নতুন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি কমিয়ে আনা হচ্ছে অন্যান্য ব্যয়ও।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, যেগুলো আয়েশি ব্যয়; বড় অফিস, বড় গাড়ি, বড় এসি, বিদেশে বড় ট্যুর, বড় সেমিনার— আমরা এগুলোর উপর এখন কাঁচি চালাবো।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধিই ওলট-পালট করেছে সবকিছু। আমদানিতে বাড়তি ব্যয় এবং সেই তেল ভর্তুকি দামে বিক্রি করায় গচ্চা যাচ্ছে বড় অংকের অর্থ। এমন অবস্থায়, আগামী অর্থবছরে ভর্তুকি ব্যয় সামাল দিতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে সরকার।
চলতি অর্থবছরের চেয়ে তেল, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারে ভর্তুকি বাড়ছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। ভর্তুকির চাপ সামাল দিতে নানাক্ষেত্রে ব্যয় সংকোচনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটেও সরকারি ব্যয় কমিয়ে আনার পদক্ষেপ আছে। অনুদান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পরিবহন এবং পরিবহন যন্ত্রাংশ কেনাকাটায় কমেছে বরাদ্দ। এছাড়া প্রশিক্ষণ, সেমিনারে সম্মানী ভাতাও করা হয়েছে কাটছাঁট।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান বলেন, অপ্রয়োজনী ব্যয় হ্রাস করতে হবে। একই ব্যয় কিন্তু আমরা গত কয়েক বছর ধরে করে আসছি। সে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হ্রাস করতে হলে সরকারের প্রতিটি ব্যয় পুনঃনিরীক্ষা করে কতটুকু খরচ করা যাবে আর কতটুকু খরচ করা যাবে না, তা নির্ধারণ করতে হবে। বাস্তবায়ন করার জন্য যে সুদৃঢ় প্রশাসন পরিচালনা করতে হবে, তা বাংলাদেশে সম্ভব হবে কিনা সেটাই প্রশ্ন।
মোট বাজেটের তুলনায় সরকারি ব্যয় তেমন বড় না হলেও বরাদ্দ ব্যবহারে আরও সতর্ক হওয়া দরকার। বলা হচ্ছে, প্রতিটি ব্যয় খতিয়ে দেখা উচিৎ।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকারি ব্যয় জিডিপির নিরিখে খুব একটা বড় না। অভ্যন্তরীণ সঞ্চয় আহরণ কীভাবে বেশি করা যায়, এ বিষয়ে নজর দেয়ার কথা বলেন তিনি।
/এমএন
Leave a reply