ধর্ষণ ও হয়রানির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ কাউন্সিলর ও তরুণীর, সিসিটিভি ফুটেজ বলছে ভিন্ন কথা

|

অভিযুক্ত কাউন্সিলর এবং তরুণী।

বরিশাল ব্যুরো:

বরিশাল সিটি করপোরেশনের এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন এক তরুণী। তবে মামলার এজাহারের সাথে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজের মিল না থাকায় উঠেছে প্রশ্ন। এখন উল্টো হুমকি ও হয়রানির অভিযোগে থানায় ডায়েরি করেছেন ওই কাউন্সিলর। তার দাবি, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিপক্ষের চক্রান্তের শিকার তিনি। এদিকে কাউন্সিলরের বিচার নয়, তাকে বিয়ে করতে চান মামলাকারী তরুণী।

ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগে গত ১৬ মে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন এক তরুণী। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৭ মে বিকেল ৪টায় ও ৮ মে রাত ৮টায় পলাশপুরের নিজ বাসভবনে তাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে কাউন্সিলর রনি। এছাড়া ১২ মে রাত ৮টায় একই স্থানে তাকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ তাদের।

তবে কাউন্সিলরের বাসভবন ও আশপাশের এলাকায় থাকা সিসিটিভির ফুটেজ বলছে ভিন্ন কথা। এজাহারে উল্লেখিত ৭ ও ১২ মে কাউন্সিলরের বাসভবনে অভিযোগকারী তরুণীর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। ৮মে রাত পৌনে ৮টার দিকে এক ব্যক্তির সাথে কাউন্সিলরের বাসভবনের সামনে গিয়ে একটি ছবি তোলেন ওই তরুণী। এরপরই রিকশা করে ত্যাগ করেন ওই এলাকা।

এ নিয়ে কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি জানান, গত রমজানের মাঝামাঝি সময়ে ২টি নম্বর থেকে আমার কাছে ফোন আসে। আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়, তবে সে বিষয়ে আমি বিশেষ আগ্রহ দেখাই না। ধর্ষণ মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে। তদন্তে যদি আমি দোষী সাব্যস্ত হই, তাহলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলেও আমি তা মেনে নেবো।

মামলা দায়েরের ৪ দিন আগে ১২মে মোবাইলে কল করে এবং এসএমএস’র মাধ্যমে হয়রানি ও হুমকির অভিযোগে কাউনিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন কাউন্সিলর রনি। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ।

কাউনিয়া থানার ওসি এ. আর. মুকুল জানান, পর্যালচনায় দেখা গেছে কল বা মেসেজ সবই তাকে (কাউন্সিলর) দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিচ্ছি।

কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলাকারী তরুণ বলেন, তাকে বিয়ে করলে মামলা তুলে নিবেন তিনি। তরুণী জানান, বিষয়টির আমি একটি সমাধান চাই, চাই এটি সমঝোতায় আসুক। আমি চাই কাউন্সিলর কোফায়েত আমাকে বিয়ে করুন।

বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে কথা বলেছেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। বলেন, যতটুকু আমি জানি যে অভিযোগগুলো তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তার একটিও প্রমাণিত হয়নি। মামলাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছে পিবিআই।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply