অর্থসংকট কেটেছে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলতে পারে এবছর

|

আর্থিক সংকটে একাধিকবার পিছিয়ে যায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ। সংকট কাটাতে এক পর্যায়ে চীনের শ্যাংডং ইন্টারন্যাশনাল এবং সিনো হাইড্রোর কাছে ৪৯ শতাংশ শেয়ারও বিক্রি করে দেয় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইতাল-থাই। তবে এখন আর অর্থের জটিলতা নেই বলে জানিয়েছেন প্রকল্পটির পরিচালক। অর্থপ্রবাহ ঠিক রাখতে চীনের ২টি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হয়েছে। চলতি বছরের শেষের দিকে প্রকল্পের ১১ কিলোমিটার অংশ খুলে দেয়া হতে পারে বলেও জানালেন তিনি।

যানজট নিরসনের রাজধানীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্পগুলোর অন্যতমও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। কিছু বড় প্রকল্প অর্থায়ন জটিলতায় হোঁটচ খেয়েছে। তবে কিছুকিছু প্রকল্প সেই বাধা ডিঙিয়ে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে তার অন্যতম।

এই মেগা প্রকল্পে বিনিয়োগ করে থাইল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতালি-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি। কিন্তু শুরু থেকেই অর্থ সংকটে ভুগছিল প্রতিষ্ঠানটি। থেমেও যায় নির্মাণ কাজ। এক পর্যায়ে চীনের ‘চায়না শ্যাংডং ইন্টারন্যাশনাল’ এবং সিনো হাইড্রো’ কাছে ৪৯ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে দেয় ইতাল-থাই।

প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম সাখাওয়াত আখতার জানান, অর্থপ্রবাহ নিশ্চিত করতে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ঋণ নেয় চায়না এক্সিম ব্যাংক এবং আইসিবিসি, এ দুটি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হয়েছে ৭৩০০ কোটি টাকা। সবমিলে এখন আর আর্থিক সংকটে নেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।

প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিজিএফ হিসেবে সরকার দিচ্ছে আড়াই হাজার কোটি টাকা। প্রকল্প পরিচালক জানালেন, তবে এ টাকা সরকার এককালীন দেবে না। দেয়া হবে ছয় ধাপে।

বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সরকারের চুক্তি ২৫ বছরের। এতে নির্মাণকাল সাড়ে ৩ বছর ধরা হলেও তা পেরিয়েছে অনেক আগেই। কাজ এখনও চলছে। আর বাকি সাড়ে ২১ বছর এক্সপ্রেসওয়েতে চলা যানবাহনে থেকে টোল আদায়ের মাধ্যমে লগ্নিকৃত অর্থ তুলে নেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply