মাকে মারধর করায় ছেলেকে তপ্ত রোদে বেঁধে রেখে ‘খুন’ করলেন বাবা

|

ছবি: সংগৃহীত

দুপুর ২টোর সময় ছেলের হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে চড়া রোদে ফেলে রেখেছিলেন বাবা। প্রবল দাবদাহে যখন পানির জন্য চিৎকার করেছেন সন্তান, এক ফোঁটা পানিও দেননি তিনি। এই অবস্থায় কয়েক ঘণ্টা থাকার পর মারা যান ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার কেওনঝড়ে।

গ্রেফতার হওয়ার পর ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানান, যা করেছেন তার জন্য কোনো অপরাধবোধও নেই তার। বরং তিনি মনে করেন ছেলেকে উপযুক্ত ‘শাস্তি’ই দেয়া হয়েছে। ওই ছেলের নাম সুমন্ত নায়েক (৪০)। তার বাবা পানুয়া নায়েকের বয়স ৬৫। ওড়িশার কেওনঝড় জেলার সানামাসিনাবিলা গ্রামে।

পুলিশের জেরায় পানুয়া জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার অসুস্থ মাকে প্রবল মারধর করেন সুমন্ত। ছেলের হাতের আঘাতে হিপজয়েন্ট ভেঙে যায় বছর ৫৫-এর প্রৌঢ়ার। এই নিয়ে বাড়িতে অশান্তি চলছিল। শনিবার বাবার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় সুমন্তর। তারপরই ছেলেকে ‘উচিত শিক্ষা’ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন পানুয়া।

পানুয়া পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি জাতীয় সড়কের ধারে একটি খাবারের দোকান চালান। তবে সুমন্ত তাকে ওই কাজে সাহায্য করতেন না। পুলিশ জানিয়েছে, সুমন্ত কোনো নির্দিষ্ট পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর জানতে পেরেছে, সুমন্ত প্রায়ই তার স্ত্রী এবং মাকে মারধর করতেন।

কিন্তু অপরাধ মারাত্মক হলে কি তার শাস্তি দিতে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যায়! এই প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। একাংশের মত, এমন অপরাধের কঠোর শাস্তিই হওয়া উচিত। অন্য অংশ অবশ্য মনে করছে, যেভাবে বাবা ছেলের হাত-পা বেঁধে অত্যাচার করে তাকে কার্যত খুন করেছেন, তা কাম্য নয়।

প্রসঙ্গত কেওনঝড়ে গত শনিবার তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, খাতায়-কলমে হিসেব তা হলেও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির সমান মনে হচ্ছিল।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply