সব জল্পনা-বিতর্ক পেছনে ফেলে সৌদি আরব যাচ্ছেন বাইডেন

|

ছবি: সংগৃহীত।

শেষ পর্যন্ত সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জুলাইয়ে ৪ দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফরসূচিতে দেশটির নাম যুক্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউজ। তবে যুবরাজের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন বাইডেন, এমন খবরে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক। হোয়াইট হাউজের বলছে, মানবাধিকার ইস্যু পাশ না কাটিয়েই মার্কিন স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবেন প্রেসিডেন্ট। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এবারই প্রথম মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন বাইডেন। নির্ধারিত সূচি ১৩ থেকে ১৬ জুলাই। শুরুর দু’দিন যাবেন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনে। আর শেষ দু’দিন বরাদ্দ সৌদি কিংডমের জন্য।

বাইডেনের সৌদি ভ্রমণ নিয়ে গত কয়েকদিনের দোলাচলের পর মঙ্গলবার (১৪ জুন) আসে নিশ্চিত ঘোষণা। এমনকি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথেও সাক্ষাৎ করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বাইডেন নিজ দেশে এ সংক্রান্ত প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেও সৌদির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করে এ তথ্য।

সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে যুবরাজ সালমান জড়িত থাকার তথ্য উঠে এসেছিল খোদ মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে। এরপরও তার সাথে বাইডেনের সাক্ষাতের পরিকল্পনা জন্ম দিয়েছে বিতর্ক। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন পদক্ষেপ মোহাম্মদ বিন সালমানের অনৈতিক কাজের প্রতি পরোক্ষ সমর্থন।

তবে সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়েছে হোয়াইট হাউজ। দাবি, জ্বালানিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মার্কিন স্বার্থ রক্ষার তাগিদেই এই কূটনৈতিক তৎপরতা। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানান, মার্কিন স্বার্থ জড়িত এমন কোনো সুযোগ গ্রহণে ইতস্তত করবেন না প্রেসিডেন্ট, যদি তা আমাদের মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। সৌদি আরবের সাথে জ্বালানিসহ বেশ কিছু ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের মতো হুমকি মোকাবেলায় বহু বছর ধরেই একসাথে কাজ করেছি। মানবাধিকার বরাবরই পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে থাকবে। সে বিষয়ে আপোস হবে না।

জো বাইডেনের পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে উষ্ণ সম্পর্ক ছিল যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের। রিয়াদের সাথে সাড়ে বারোশ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি, সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যা ইস্যু কিংবা ইয়েমেনে হামলার মতো ঘটনার পরও এমবিএস’কে প্রচ্ছন্ন সমর্থন দেন ট্রাম্প। তবে জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর রিয়াদের সাথে দূরত্ব বাড়ে ওয়াশিংটনের। এমনকি তখন সালমানের সাথে আলোচনায়ও রাজি হননি বাইডেন।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply