স্টাফ রিপোর্টার,গোপালগঞ্জ
রমজান উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় গোপালগঞ্জেও টিসিবি-র পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। কিন্তু বাজার মূল্য থেকে টিসিবি-র কোন কোন পণ্যের দাম বেশি, আবার কোন কোনটির দাম বাজার মূল্যের সমান। যে কারণে টিসিবি-র পণ্য বিক্রি হচ্ছেনা বললেই চলে। অন্যান্য বছর টিসিবি-র পণ্য নিমিশেই বিক্রি হয়ে যেতো। কিন্তু এবছর তার চিত্র ভিন্ন।
প্রতি বছরই রমজান মাস উপলক্ষে সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখতে টিসিবি-র ডিলারদের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে থাকে। তুলনামূলকভাবে কম দামে টিসিবি-র পণ্য কিনতে রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও দরিদ্র মানুষ অন্যান্য বছর কিনলেও এবছর তার চিত্র ভিন্ন। একেবারে ফাঁকা বললেই চলে টিসিবির দোকান গুলোতে। একদিন পণ্য তুলে ডিলাররা তা ৩/৪ দিন ধরে বিক্রি করছেন। ক্রেতাদের নানান কথার সম্মূখীন হচ্ছেন তারা।
টিসিবির দোকানে ছোলা, মুশুরী ও খেঁজুরের মূল্য স্থানীয় বাজার থেকে কেজি প্রতি ৫/১০ টাকা বেশী। তবে চিনি ও তেলের দাম বাজার মূল্যের সমান সমান বা কোন কোন ক্ষেত্রে একটু কম।
কিছুটা কম মূল্যে কেনার জন্য এসময়ে দরিদ্র জনগন টিসিবি-র পণ্যের দিকে চেয়ে থাকে। কিন্তু সে পণ্য যদি বাজার মূল্যের থেকে বেশি বা সমান সমান হয় তাহলে তারা তা কিনবেন কেন? এমন প্রশ্ন টিসিবি-র পন্য কিনতে আসা ক্রেতাদের।
টিসিবি ডিলার বুলবুল আলম ও দিপক সাহা টিসিবি-র পণ্য মূল্য বাজার থেকে বেশী একথা স্বীকার করে বলেন, আমরা খুব সমস্যায় রয়েছি।বাজার মূল্যের থেকে কোন কোন পণ্যের মূল্য বেশী। দুই দিনের পণ্য তুলে তা বিক্রি করতে ৪ দিন সময় লাগছে। তবে টিসিবি-র পণ্যের গুনগত মান ভাল বলে জানালেন এক ডিলার।
বাজার মূল্যের থেকে টিসিবি তার পণ্য মূল্য কম রেখে দরিদ্র মানুষকে কিছুটা সুবিধা দেবে এমন প্রত্যাশা খেটে খাওয়া মানুষদের।
Leave a reply