উত্তরাঞ্চলে বন্যার অবনতি

|

উত্তরে অবনতি হয়েছে বন্যার। বেড়েছে তিস্তা-ঘাঘট-যমুনাসহ বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি। এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে লালমনিরহাট-রংপুর-কুড়িগ্রাম-সিরাজগঞ্জসহ উত্তরের বেশিরভাগ জেলার নিচু এলাকা। ডুবেছে বাড়িঘর-রাস্তাঘাট। ত্রাণ সংকটে বিপাকে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ।

যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়তে থাকায় জামালপুরে বন্যার অবনতি হয়েছে। মাদারগঞ্জ-ইসলামপুর-সরিষাবাড়ী ও বকশিগঞ্জের অন্তত ১৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। পানি উঠায় ২৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। সিলেট-সুনামগঞ্জের পর নেত্রকোণার খালিয়াজুড়িতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। শেরপুরেও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসী মানুষের।

এদিকে, বৃষ্টিপাত কমলেও বানের জলে ভাসছে সিলেট। একই অবস্থা সুনামগঞ্জেরও। সীমাহীন দুর্ভোগে এ দুই জেলাসহ সারাদেশে বন্যাকবলিত লাখ লাখ মানুষ।

সিলেটে সড়ক-বাসাবাড়িতে এখনও হাটুপানি। তবে, ওসমানী মেডিকেলের নিচতলা থেকে পানি নেমে গেছে। গতকাল থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। যদিও উপজেলাগুলো ভাসছে পানিতে। আশ্রয়কেন্দ্রে উঠছে মানুষ। সুনামগঞ্জেও বন্যার একই চিত্র। ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট ডুবে থাকায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগে বানভাসীরা। বন্যা মোকাবেলায় কাজ করছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিজিবি সদস্যরা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply