পদ্মাসেতু কমাবে পরিবহন ব্যয়

|

উদ্বোধনের অপেক্ষায় পদ্মাসেতু। চালু হলে ঘাটে ফেরি পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা থেকে মুক্তি মিলবে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর। আর তো মাত্র ক’টা দিন।

পদ্মাসেতুর কারণে রাজধানী থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাস ভাড়া কমবে কমপক্ষে দু’শ টাকা। দূরত্ব কমায় কমবে জ্বালানি খরচ, বাঁচবে সময়। আর সময় বাঁচলে যানবাহনের ট্রিপও বাড়বে। তাই ফেরির চেয়ে সেতুর টোল দেড় গুণ হলেও ভাড়া কমবে। যানবাহন পরিবর্তন আর ঝুঁকি নিয়ে নৌকা-লঞ্চে পার হওয়ার ঝক্কিও দূর হবে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর।

গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ফেরি হয়ে পদ্মা পাড়ি দিয়ে বরিশালের দূরত্ব ২৪২ কিলোমিটার। ৪০ আসনের নন-এসি বাসে ফেরির টোলসহ ভাড়া ৬২৬ টাকা। ফেরির জন্য অপেক্ষাসহ এ পথে সময় লাগে ৬/৭ ঘন্টা। পদ্মা সেতু হয়ে গেলে সায়েদাবাদ থেকে বরিশালের দূরত্ব কমে হবে ১৫৬ কিলোমিটার। সময় লাগবে চার ঘন্টা।

সায়েদাবাদ থেকে পদ্মা সেতু হয়ে বরিশালের ভাড়া ৪২১ টাকা নির্ধারন করেছে বিআরটিএ। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টোল কমানো গেলে ভাড়া কমতো আরো।

একইভাবে গাবতলী থেকে পাটুরিয়া হয়ে খুলনার দূরত্ব ২৭৩ কিলোমিটার। নন-এসি বাসে এই পথ যেতে ৭/৮ ঘণ্টা সময় লাগায়, ভাড়া ৭৩৭ টাকা। পদ্মা সেতু হয়ে গেলে দুরত্ব কমবে ৭০ কিলোমিটার, সময় তো বাঁচবেই। তবুও ভাড়া বেশি নিতে নানা অজুহাত বাস মালিকদের।

মাওয়া-জাজিরা পথে বাস থেকে নেমে যাত্রীরা এখন পার হন লঞ্চ বা নৌকায়। এতে করে নদী পার হতেই সময় লাগে ঘণ্টা দেড়েক। খরচও অনেক। দুর্যোগে প্রায়ই বন্ধ থাকে এই পথ।

যাত্রীর পাশাপাশি পণ্য পরিবহনও সহজ হবে সেতু পথে। সবজিসহ পচনশীল পণ্য দ্রুত পৌছাবে রাজধানীতে। ভালো দাম পাওয়ার আশা ব্যবসায়ীদের।

পদ্মাসেতু সুন্দর ভব্ষ্যিতের হাতছানি দিচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষদের। আশায় বুক বাঁধছেন তারা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply