পিরোজপুর প্রতিনিধি:
২০১৯-২০ অর্থবছরে অতি দরিদ্রদের মধ্যে দুর্যোগ সহনীয় কিছু ঘর বিতরণ করে সরকার। পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার বালিপাড়া গ্রামে দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ এমনই একটি ঘরে দেখা গেলো এসি, ডিটিএইচ, ফ্রিজসহ নানা বিলাস সামগ্রী। এরই মধ্যে ত্রাণ হিসেবে পাওয়া ঘরের বারান্দার অংশ ভেঙে চলছে সেটি বড় করার কাজ। স্থানীয় এমপির সুপারিশে পাওয়া সরকারি ওই ঘরে বসবাস করেন জাতীয় পার্টি (জেপির) ছাত্র সংগঠন ছাত্র সমাজের ইউনিয়ন কমিটি আহ্বায়ক মো. ইকবাল সেপাই।
সরকারের দেওয়া ঘর কেন রাজনৈতিক বিবেচনায় সচ্ছল ব্যক্তিকে দেয়া হয়েছ, এমন প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে। তবে ইকবাল সেপাইয়ের দাবি, তিনি আগে অসচ্ছল ছিলেন, এখন তার সামর্থ হয়েছে। গরম থেকে রক্ষা পেতে তার বাচ্চার জন্য কিস্তিতে এসি লাগিয়েছেন তিনি।
ইকবাল ঘরটি পান স্থানীয় এমপি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সুপারিশে। ইকবাল বালু সরবরাহের ব্যবসা করেন। সম্প্রতি সে তার ঘরে লাগিয়েছেন এসি ও আকাশ ডিটিএইচ। এছাড়া ঘরে রয়েছে ফ্রিজসহ নানা বিলাস সামগ্রী ও মোটরসাইকেল। নিজ খরচে সম্প্রসারণও করছেন ত্রাণের ঘর।
ইকবালের ব্যাখ্যা, তার একটি বাচ্চা রয়েছে। গরমে বাচ্চাটি কান্নাকাটি করে। তাই কিস্তিতে একটি এসি কিনেছেন তিনি। তাছাড়া, বর্তমানে বালুর ব্যবসা করে তিনি কিছুটা সচ্ছল। তাই এ কাজে কোনো অন্যায় দেখছেন না তিনি ও তার স্বজনরা।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের রেজ্যুলেশনে তৎকালীন নির্বাহী অফিসারের তত্ত্বাবধানে ভূমিহীনদের যাচাই-বাছাই করার পর ঘরটি দেয়া হয় তাকে। সেখানকার রিপোর্টে লেখা আছে, ইকবাল দিনমজুর, তার মাসিক আয় ৫ হাজার টাকা। তারপরও ওই সময় যাচাইপ্রক্রিয়ায় কোনো ভুলত্রুটি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুৎফুন্নেসা খানম।
/এডব্লিউ
Leave a reply