Site icon Jamuna Television

পদ্মা সেতু: দুর্নীতি না করেই গ্রেফতার-বরখাস্ত, সাবেক সেতু সচিব বললেন সেই অভিজ্ঞতা

সাবেক সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতি না করেই গ্রেফতার হয়েছিলেন মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। কারাগারে ছিলেন ৪০ দিন। চাকরি থেকে বরখাস্ত, ওএসডিসহ দেড় বছর দুর্বিষহ জীবন কাটিয়েছিলেন তখনকার সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। বর্তমানে জার্মানির রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন লগ্নে সেই দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

পরামর্শক নিয়োগে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগের বড় ভুক্তভোগী ছিলেন সাবেক সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, আমাকে যে শুধু আসামি করেছে তাই নয়, আমাকে জেলেও দিয়েছে। আমি হাইকোর্টে গিয়েছিলাম জামিনের জন্য, আদালত শুনানির জন্য আরেকটি তারিখ দেয়। এরই মধ্যে রাস্তায় আমাকে গ্রেফতার করে।

নিজের ও পরিবারের একটি দুর্বিষহ সময় গিয়েছে উল্লেখ করে সাবেক সেতু সচিব বলেন, ওই সময় আমার আর আমার পরিবারের একটি দুর্বিষহ সময় গিয়েছে। আমি জামিনে মুক্ত হলাম। আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। আমি ওএসডি হিসেবে থাকলাম, আমার মামলা চললো। এভাবে দেড় বছর কেটে গিয়েছে।

অথচ পরামর্শক নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়নি তা জানতেন দাতাসংস্থা জাইকা ও আইডিবির প্রতিনিধিরা। বিশ্বব্যাংকের চাপে এ নিয়ে মুখ খোলেনি তারা।

মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এডিবি ও জাইকার দুই প্রতিনিধি এসে আমাকে বললো, এই প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়েছে বা দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হয়েছে তা আমরা বিশ্বাস করি না। কিন্তু যেহেতু বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্প থেকে সরে যাচ্ছে, আমাদেরও সরে যেতে হবে।

যাদের জন্য দুর্বিসহ জীবন কেটেছে, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশ, তাদের অবশ্য শাস্তি চান না সাবেক সেতু সচিব। বলেন, আমি মনে করি যারা এই সেতুর বিপক্ষে কাজ করেছে তারা তাদের জবাব পেয়ে গেছে। আমরা যে এটা করতে পেরেছি সেটাই বড় কথা। ভবিষ্যৎ ইতিহাস তাদের মূল্যায়ন করবে।

দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত হওয়ার পর মোশাররফ হোসেন এনবিআর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে জার্মানিতে কর্মরত আছেন রাষ্ট্রদূত হিসেবে।

এসজেড/

Exit mobile version