পদ্মা সেতুর প্রকল্পের কাজ যখন শুরু হয় তখন যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন মাদারীপুর-৩ আসনের এমপি সৈয়দ আবুল হোসেন। পরে এই প্রকল্পে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় পদত্যাগ করেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। সেই আবুল হোসেনকে পাশে রেখেই আজ শনিবার (২৫ জুন) দুপুর ১২টার দিকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা।
এর আগে, উদ্বোধন পূর্ববর্তী বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা সবাই জানেন, যখন সেতু নির্মাণকাজে নামি তখন অনেক ষড়যন্ত্র হয়। মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয় অনেককে। দুর্নীতির অপবাদ দিয়ে একেকটা মানুষ, একেকটা পরিবারকে মানসিক যন্ত্রণা দিয়েছে একটি গোষ্ঠী।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় সৈয়দ আবুল হোসেনসহ শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ, রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিকি ও পদ্মা সেতুর নির্মাণের কাজে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে বিশেষভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ড. মশিউর রহমান; যারা এই অপবাদ ও যন্ত্রণা ভোগ করেছেন তাদের প্রতি ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানান।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু শুধু ইট-পাথর-সিমেন্টের অবকাঠামো নয়, এটি আমাদের আবেগ: প্রধানমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পে সৈয়দ আবুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের এই অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। পরে সৈয়দ আবুলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার তদন্তও করা হয়। ২০১৪ সালে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এরও প্রায় দীর্ঘ ৬ বছর পর গত ২৩ জানুয়ারি সৈয়দ আবুল হোসেনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি সংক্রান্ত একটি চিঠি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে দেয় দুদক।
জেডআই/
Leave a reply