চরম খাদ্য সংকটে ভুগছে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আফগানিস্তানের হাজার হাজার মানুষ। প্রয়োজন জরুরি মানবিক সহায়তা। দেশটিতে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থা বলছে, বড় ধরনের বিপর্যয় ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এখনই এগিয়ে আসতে হবে। এদিকে, এমন ভয়াবহ সংকটের মধ্যেও ত্রাণ বিতরণ করা নিয়ে তালেবানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। খবর এপি’র।
আফগানরা বলছেন, এখন তাদের সবচেয়ে বেশি মাথাব্যাথা দু’মুঠো খাওয়া নিয়ে। দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি পরিবারেই একই চিত্র। এরইমধ্যে মানবিক সহায়তা পাঠানো শুরু করেছে প্রতিবেশি ইরান, চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ। এসবের সমন্বয় করছে ইউনিসেফসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা।
আফগানিস্তানে ইউনিসেফের প্রতিনিধি ডা. মোহামেদ আইওয়া বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সবার সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সহায়তা দিয়ে যাওয়ার। নারী-পুরুষ সব বয়সী মানুষ এখন কষ্টে আছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলবো দ্রুত সহায়তা পাঠান এখানে। মানসিকভাবেও চরম বিপর্যস্ত এখানকার শিশুরা।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা বলছেন, বিশাল জনগোষ্ঠির জন্য যে সহায়তা পাঠানো হচ্ছে, তা দিয়ে চলবে দু-চার দিন। সংকটের দীর্ঘ মেয়াদি সমাধানে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের।
আফগানিস্তানের ইসলামিক রিলিফের প্রধান মোহাম্মাদ গোলাম সরোয়ার বলেন, এমনিতেই ভয়াবহ মানবিক সংকটের মধ্যে দিন পার করছিল বাসিন্দারা। ভূমিকম্পের পর সেই সংকট আরও বেড়েছে। কয়েকটি দেশ থেকে যে সহায়তা এসেছে তা মোটেও পর্যাপ্ত নয়। এখন জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা সরঞ্জামের পাশাপাশি দীর্ঘ মেয়াদি খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন।
এদিকে, তালেবানের বিরুদ্ধে ত্রাণ তৎপরতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। তারা বলছে, দুর্গত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তরা ত্রাণ পাচ্ছেন না, কিন্তু ঠিকই ত্রাণ দেয়া হচ্ছে নিজ মতাদর্শের লোকজনদের।
গত বুধবার দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অনুভূত হয় ৬ দশমিক এক মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। যার প্রভাবে খোস্ত প্রদেশে প্রাণ হারায় শিশুসহ ১১শ’রও বেশি মানুষ।
/এমএন
Leave a reply